পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’র ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’র ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দাবি না মানলে প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ঘেরাও করা হবে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, আজ যদি কাজ না হয়, এটাও জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ওনার (প্রধান বিচারপতি) বাসস্থানে যাব। ঘেরাও করে বসে থাকব, যতক্ষণ না তিনি আমাদের কথা শোনেন। জনগণের আবেদন না শুনলে ওনার ওই চেয়ারে থাকার অধিকার নেই।
সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাইকোর্ট হলো জনগণের জন্য একটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানে প্রবেশে ক্ষেত্রে গেটে তালা লাগিয়ে তারা ভুল করেছেন। হাইকোর্টের দরজা কখনও বন্ধ হতে পারে না। জনগণের বিচারের জায়গা এটি। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। আমি বলেছি, আপনারা যদি আমাকে ঢুকতে না দেন, দরকার হলে সারারাত আমি ওই গেটে বসে থাকব। আমি মুক্তিযোদ্ধা। কখনও পেছাতে শিখিনি। জয় নিয়েই ফিরব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’র ট্রাস্টি বলেন, আমরা ১৮ জন ব্যক্তি একটা দরখাস্ত করেছিলাম। সেখানে ৫৪ জন ছাত্রের জামিন চেয়েছিলাম। আজ তিন মাস হয়ে গেছে জামিন হয় না। অথচ সৌভাগ্যের বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়ে গেল। রোজিনার তথাকথিত অপরাধের চেয়েও ছাত্রদের অপরাধ কম। তাদের অপরাধ, তারা একজন ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়েছে। এই কারণে তাদের জেলে দিয়েছে। এই ছাত্রদের জামিন না দেয়ার থেকে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? এই কথাগুলো প্রধান বিচারপতিকে জানাতে এসেছিলাম। তিনি (প্রধান বিচারপতি) আজ অফিসে নেই। ওনার প্রতিনিধি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানালাম।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা বিচারে হস্তক্ষেপ নয়, দীর্ঘসূত্রিতা চাই না। জেলা আদালতে এই মামলাটা আছে, তারা যেন সেখানে রায় দেন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের চেহারা-সুরত দেখে মনে হলো তিনি ১ জুন বিষয়টা জেলা জজের কাছে উত্থাপন করবেন।
প্রসঙ্গত: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে আন্দোলনের সময় আটক ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় ‘গণসংহতি আন্দোলন’র নেতা জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ সঙ্গে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।