পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে চলমান লকঢাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছে পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। একই সাথে নতুন করে সীমাবর্তী জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকায় যাতে আসতে না পারে এ নির্দেশনা থাকছে। আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এমন বিধিনিষেধ যুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পাবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক যুগ্মসচিব ইনকিলাবকে বলেন, চলমান লকঢাউন বাড়তে পাবে এক থেকে দুই সপ্তাহ। তবে নতুন করে সীমাবর্তী জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকায় যাতে আসতে না পারে এ নির্দেশনা থাকছে।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা উচিত। দেশে ইতোমধ্যে ভারতীয় ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টের রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বøাক ফাঙ্গাস।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার সংখ্যা ৩৫টি। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষীরা, পঞ্চগড়সহ বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ তাদের জন্য নিকটবর্তী হওয়ায় ভারতে বেশি আসা-যাওয়া করে থাকে। ফলে এ সকল মানুষদের ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। যেন সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকা শহর ও অন্যান্য শহরে না যেতে পারে এবং ওই সকল জেলায় যাতে অন্য জেলার মানুষ প্রবেশ করতে না পারে।
গত ২৩ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি-চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিধিনিষিধের সময়সমীমা গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামী ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো। পূর্বের শর্তাবলি কার্যকর থাকলেও আন্তঃজেলা গণপরিবহন এবং খাবার হোটেলে বসে খাবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। হোটেল- রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক গ্রাহককে বসিয়ে খাবার খাওয়াতে পারবে। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব সিনিয়র সচিব/সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন’ হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূর পাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদেও লঞ্চ- ট্রেন এবং দূর পাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর আগে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দফা বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।