পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাতক্ষীরা উপকূলের জানমালের সুরক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা সেই তরুণ জলবায়ু কর্মীদের মারধর করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পাউবো কর্মর্কতা। গতকাল সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পাতাখালীতে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধের উপর কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের খবর দেশের সব গণমাধ্যম প্রচার করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে রাতে ফোন করে হুমকি দেওয়ার পর শনিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝাঁপার ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধের উপর শত শত মানুষের সামনে তাদের মারধর করেন পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আতাউর রহমান ও পাউবোর সেকশন অফিসার আলমগীর হোসেন।
এসময় বাঁধ নিয়ে পরবর্তীতে কোন ধরনের কর্মসূচি পালন করলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও তাদের হুমকি দেয়া হয়। সূত্র মতে, উপকূলের লক্ষ লক্ষ জনগোষ্ঠীকে রক্ষার জন্য কাফনের কাপড় পড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সকালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা। ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই অবস্থান কর্মসূচিতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনপদের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এই খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচার হয়।
এরপর শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত ঝাঁপা অংশের উপকূল রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে। এসময় কাজে নিয়োজিত গ্রামবাসীদের উৎসাহিত করতে স্বেচ্ছাসেবী ঐ সংগঠনের কয়েকজন কর্মী লাইভ টেলিকাস্ট করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বাঁধের দায়িত্বে থাকা পাউবোর এসও আলমগীর হোসেন দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে জলবায়ু কর্মী ও গণমাধ্যম কর্মী শাহিনসহ তার সহকর্মীদের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করতে বলেন এবং শাহিনের হাত চেপে ধরেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহিনকে শত শত গ্রামবাসীর সামনে মারতে শুরু করেন। তাৎক্ষণিক গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে শাহিনসহ তার সহকর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুল্লাহ গাজী ও মুজিবর রহমান জানান, আগের দিন বাঁধ এর দাবিতে কর্মসূচি পালন করায় চেয়ারম্যান সবার সামনে শাহিনকে মেরেছে। শাহিনকে মেরে পরবর্তীতে উপকূল নিয়ে কোন কর্মসুচি পালন করলে দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়েছে।
আজগর আলী ও সোহরাব হোসেন নামের স্থানীয় দুই শ্রমিক জানান, সকাল থেকে আমরা প্রায় তিন হাজার গ্রামবাসী বাঁধ মেরামত করছিলাম। শাহিন তা ভিডিও করে প্রচারের সময় চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে তাকে মারধর করে। পরে অন্যরা এগিয়ে এসে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়। এসময় এসও সাহেব তাকে জেলে ভরতে চায়।
এ প্রসঙ্গে পাউবোর সেকশন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, আমার সাথে শাহিন বিল্লাহ এর কোন সমস্যা হয়নি। তবে চেয়ারম্যানের ভাতিজা হওয়ায় তিনি শাহিন বিল্লাহর সাথে কিছুটা খারাপ আচরণ করেছেন।
মারধরের বিষয়ে জানার জন্য পদ্মপুকুরের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আতাউর রহমানের মুঠোফোনে বার বার (০১৭১১৪৭৯২৯৮) কল দেয়া হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এসময় তার মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, তরুণ জলবায়ু কর্মীদের মারধরের ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমত নিন্দার ঝড় বইছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।