পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউশ জাতীয় মা মাছ। এখন সংগৃহীত ডিম থেকে সনাতনী কায়দায় রেনুতে পরিনত করার কাজ চলছে। ডিম সংগ্রহকারীরা রাত-দিন পরিশ্রম করে রেনু ফোটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত দুই দিনের সংগৃহীত ডিমের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৯২০ কেজি।
এবার হালদায় বজ্রসহ বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত মঙ্গলবার রাতে ডিমের নমুনা ছাড়ে ও বুধবার রাতে পুরোদমে ডিম ছেড়ে দেয় মা মাছ। রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আহরণকারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ করেন। হালদা নদীর নয়াহাট থেকে শুরু করে মদুনাঘাট এলাকা পর্যন্ত ডিম আহরণ করা হয়। জেলেরা ডিম সংগ্রহের পর হাটহাজারীর তিনটি ও রাউজানের একটিসহ মোট চারটি হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেনু ফোটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
হ্যাচারিভিত্তিক দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা ও ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হাটহাজারীর মাছুয়া ঘোনা হ্যাচারিতে ১১২ বালতি, শাহমাদারী হ্যাচারিতে ৯০ বালতি, মদুনাঘাট হ্যাচারিতে ৭৭ বালতি, কামাল সওদাগরের নিজস্ব ছয়টি মাটির কুয়ায় আট বালতি ডিম পাওয়া যায়। এ নিয়ে হাটহাজারী উপজেলায় মোট ২৮৭ বালতিতে প্রতিটিতে ১০ কেজি করে মোট ডিম পাওয়া গেছে দুই হাজার ৮৭০ কেজি। এ ছাড়া রাউজান উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মোবারকখীল হ্যাচারিতে ৭০ বালতিতে ৭০০ কেজি ডিম পাওয়া গেছে।
আই ডি এফ এর নিজস্ব প্রকল্পের পরিচালিত লোকবলের মাধ্যমে আটটি কুয়া, পাঁচটি সার্কুলার ট্যঙ্ক, ১০টি চৌবাচ্চায় মোট ৪২ বালতিতে ৩৫০ কেজি ডিম পাওয়া গেছে। রাউজানে মোট ডিম পাওয়া গেছে এক হাজার ৫০ কেজি। এ নিয়ে ২০২১ সালে হাটহাজারী ও রাউজান মিলে হালদায় মোট ডিম পাওয়া গেল তিন হাজার ৯২০ কেজি। ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, প্রতি ৬০ কেজি ডিম থেকে তিন দিন বয়সী এক কেজি রেণু ফোটানো সম্ভব হয়। এ হিসাবে সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের সংগৃহীত ডিম থেকে তিন দিন বয়সী প্রায় ৬৫ কেজি রেণু ফোটানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এই মৌসুমে ভেজাল কারবারিরা বিভিন্ন জেলা হতে ভেজাল পোনা এনে হালদার আসল পোনার সাথে মিশ্রন করে বিক্রি করার পাঁয়তারা করতে পারে এমনটায় আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে এদিকে স্থানীয় প্রশাসন সজাগ হয়ে প্রতিটা হ্যাচারিতে আনসার মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। ৮/১০ দিন পর আবারো অমবশ্যা জো তে বজ্রসহ বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের স্রোতে ঘোলা পানি হালদায় প্রবেশ করে মা মাছের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে মা মাছ আরেক দফা ডিম ছাড়তে পারে বলে মনে করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।