Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মা মাছের ডিম ছাড়া নিয়ে শঙ্কায় সংগ্রহকারীরা

নদীতে জোয়ারের পানির তীব্রতা

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ঘোষিত বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ হালদা নদীতে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিম সংগ্রহকারীরা নদীতে অবস্থান করলেও নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। বিকেল থেকে বজ্রসহ বৃষ্টি হলে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। কারণ সোমবার থেকে ৪র্থ জো শুরু হয়েছে। ২৪ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত মা মাছ ডিম ছাড়ার জো। যদি পরিবেশ অনুকূলে থাকে বজ্রসহ বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল নামে তাহলে ডিম ছেড়ে দিবে। এমন মনে করে ডিম আহরোনকারীরা। হালদা নদীর বিভিন্ন স্পটে ডিম ধরার জাল ফেলে দেখেন তবে কিছুই পাওয়া যায়নি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সঙ্কেত।

গত সোমবার মোটামোটি পরিবেশ অনুকূলে মনে হলেও ধেয়ে আসা ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ডিম ছাড়েনি মা মাছ। কয়েক জন ডিম আহরণকারী অতীতের রেকর্ডও এমন বলে জানান, ডিম সংগ্রহকারীরা। এদিকে হালদায় গতকাল মঙ্গলবার জোওয়ারের পানি তীব্র আকার ধারণ করেছে সেই পানি লবাক্ত হয়ে উটে। গতকাল জেলা মৎস্য অফিসার ও হাটহাজারী মৎস্য অফিসার যৌথভাবে হালদা নদী পানি ও মা মাছের আনাগোনা পরিদর্শন করেছে। তবে বর্তমানে হালদার ডিম সংগ্রহকারী, স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনসহ হাটহাজারীর গণমাধ্যম কর্মীদের নজর এখন হালদা নদীর দিকে। ডিম সংগ্রহকারীরা বর্তমানে থাকা খাওয়া চলছে একপ্রকার হালদার পাড়ে। তবে কয়েকটি জো পার হলেও ডিম না ছাড়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সংগ্রহকারীদের মধ্যে। কারণ মা মাছের অবাধ বিচরণে বোঝা যাচ্ছে ডিম ছাড়ার জন্য মা মাছ প্রস্তুত।

ডিম সংগ্রহের আশায় হালদা নদীর সাত্তারঘাট, আজিমের ঘাটা, রামদাশ হাট, নাপিতের ঘোণা, কান্তর আলী চৌধুরী ঘাট, অংকুরী ঘোণাসহ বিভিন্ন ঘাটে শত শত ডিম সংগ্রহকারী অপেক্ষা করছে। সারি সারি প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌকা। ডিম থেকে পোনা ফোটানোর জন্য হাটহাজারীতে মাছুয়াঘোনা, শাহমাদারি, মদুনাঘাট ও রাউজান উপজেলার মোবারকখীল নামে চারটি সরকারি হ্যাচারি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসাথে রাখা হয়েছে কিছু সনাতন পদ্ধিতে পোনা ফোটানোর মাটির কুয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালদা নদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ