মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবশেষে বন্দিদশা ঘুচল পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীর। নারদ মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শর্তসাপেক্ষে অন্তর্র্বতী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে ব্যক্তিগত ২ লাখ টাকার বন্ডে এই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে খবর। তবে, জামিনে থাকাকালিন এই মামলা বা পুরনো কোনও মামলা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে কোনও কথা বলতে পারবেন না এই চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। গ্রেপ্তারির দিনই অবশ্য এই চার নেতার জামিন মঞ্জুর করেছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের গৃহবন্দি করার কথাও বলা হয়। তদন্তকারী সংস্থার আবেদনের পর নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহত্তর বেঞ্চে গতকাল ছিল ফের সেই মামলার শুনানি। শুরুতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান, শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেয়া যায় কী না সে বিষয়ে ভাবছে আদালত। তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরেই এই মামলা চলবে। কিন্তু ততদিনের জন্য এই অন্তর্র্বতী জামিন দেয়া যেতেই পারে। চূড়ান্ত নির্দেশের পর প্রয়োজনে জামিন খারিজ করা হবে। এই বিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতার মতামত চাওয়া হয়। তার প্রত্যুত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা আবেদন করেন যাতে এই জামিন না হয়। তিনি বলেন, এই চার নেতা-মন্ত্রী প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন হলে মানুষের ভাবাবেগকে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে যাবেন তারা। তাছাড়া জামিন হলেই মূল বিষয়টি হিম ঘরে চলে যাবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলাটি হিম ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হবে না বলেই সিবিআই-এর আইনজীবীকে আশ্বস্ত করেন।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের অপর এক বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় বলেন, এতদিন যখন গ্রেপ্তার করা হয়নি, তখন এখন গৃহবন্দি করে রাখার কোনও মানেই হয় না। এই বিপর্যয়ের সময় মানুষের জন্য তাদের কাজ করার প্রয়োজন আছে। এরপরই শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্র্বতী জামিন দিতে রাজি হয় বৃহত্তর বেঞ্চ। আদালত জানায়, প্রত্যেককে ব্যক্তিগত ২ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্তর্র্বতী এই জামিন মঞ্জুর করা হল। তবে এই জামিনে থাকাকালিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এ মামলা বা পুরনো কোনও মামলা নিয়ে মুখ খুলতে পারবে না। পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্তের কাজে সাহায্য করতে হবে এবং কোনও তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা চলবে না। গতকাল কলকাতার উচ্চ আদালতের এই নির্দেশে গত কয়েকদিন ধরে চলা ‘নারদ নাটক’-এ অবশেষে স্বস্তি পেল তৃণমূল। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।