পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এবার দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর জন্য বাজেট দেয়া হবে, সকলের কথা চিন্তা করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ীসহ সবার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা। অর্থাৎ আমাদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। গতকাল ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো সুখবর থাকবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব বিষয়ের জন্য বাজেট ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেসব তথ্য উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের সামনে চলে আসবে। আমরা এখনই কোনো তথ্য ডিসক্লোজ করতে পারব না। সাধারণত আমরা বলতে পারি আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো, ব্যবসায়ীদের বাঁচানো। সুতরাং সবার স্বার্থ দেখেই আমরা বাজেট করছি। আমাদের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।
প্রকিউরমেন্ট রুল পরিবর্তনের বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়গুলো আমরা দীর্ঘদিন ফলো করে আসছি। কোনো সার্ভিস বা ম্যাটরিয়াল যদি আমরা প্রকিউর করি তারমধ্যে আমরা ১০ পার্সেন্ট প্লাস মাইনাস করতে পারি। আমরা মনে করি বিষয়টি আরো ভেবে দেখা দরকার। কারণ, টেন পার্সেন্ট প্লাস মাইনাস হলে এই কমপিটিটিভ এনভায়রনমেন্ট থাকে না, সবাই একই প্রাইজ করে। এটার ভালো দিকও আছে, খারাপ দিকও আছে। এটা যদি তুলে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ পার্সেন্ট বা ১০০ পার্সেন্ট কম দেবে। দেখা গেলো এক পার্সেন্ট রাখবে। নইলে প্রাইজ যেটা হওয়া উচিত সেটা হয় না। সেজন্য এগুলো দেখা দরকার। এ কাজটি করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। তারা শিগগিরই এ কাজটি সম্পন্ন করবে এবং কমিটির কাছে নিয়ে আসবে, আরো আলাপ আলোচনার জন্য।
শ্রীলঙ্কাকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করব। আমরা কত দিচ্ছি, আগামী মিটিংয়ে সেটা দেখব। ভ্যাকসিনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক কাজগুলোর মধ্যে যেগুলো মন্ত্রণালয় করতে পারে, সেগুলো তাদের দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছি। আমরা অর্থনৈতিক সংক্রান্ত কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছি। তারা নিজেরাই এগুলো করতে পারে।
এদিকে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার সংবাদমাধ্যমকে জানান,
চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চীনা এই টিকার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ মার্কিন ডলার বা ৮৫০ টাকা (এক ডলার সমান ৮৫ টাকা হিসেবে)। জুন মাসে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা এক কোটি টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছি। খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে টিকা কেনার বিষয়টি অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, জুন, জুলাই ও আগস্ট প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে টিকা বাংলাদেশ পৌঁছাবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।