পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আরেক আসামি কালা বাবু ওরফে কালুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার রাতে পল্লবীর সিরামিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাÐের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মামলার ১৮ নাম্বার আসামি বাবু ওরফে কালা বাবু ওরফে কালু ওরফে শেখ রাসেল হোসেনকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ হত্যার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা ছাড়াও চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক মামলা রয়েছে। তাকে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৬ মে বিকেল ৪টায় সন্ত্রাসীরা জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দীনকে পল্লবী থানার ডি বøকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। গত ১৯ মে র্যাবের অভিযানে সাহিনুদ্দীন হত্যাকাÐের পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য মো. আউয়ালসহ তিন জনকে ভৈরব, চাঁদপুর ও পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সাহিনুদ্দীনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মানিককে ২০ মে রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গ্রেফতার করতে গেলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মানিক। এরপর ২২ মে দিবাগত রাতে পল্লবী ১২ নম্বর সেক্টরে সাগুপ্তা হাউজিংয়ের সামনে আরেক আসামি মনির ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ নিয়ে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ২০। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বাইরে তদন্তে নাম আসায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন চারজন। এ ছাড়া এই হত্যাকাÐে সরাসরি অংশ নেয়া মনির ও মানিক নামের দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এই খুনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে মনির ও মানিককে কোপাতে দেখা যায়।
রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও এক আসামির আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পল্লবীর বুড়িরটেক-সংলগ্ন আলীনগরে জমি দখল করে আবাসন প্রকল্প গড়তে ১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পুষতেন আউয়াল। তার আলীনগর প্রকল্পের কার্যক্রম ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধ বাঁধে সাহিনুদ্দিনের সঙ্গে। এর জেরে তিনি সাহিনুদ্দিনকে খুন করান। এই খুনের জন্য সন্ত্রাসীদের সাথে ৩০ লাখ টাকা চুক্তি হয়। অগ্রিম ২০ হাজার টাকা দেন আউয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।