পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারী, শিশু নির্বিশেষে দেশের সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে মৎস্যজাত খাদ্যে গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া টেকসই খাদ্যাভাস গড়ে তোলা, পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাতের সঙ্গে খাপ খাওয়া, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে মৎস্যজাত ও জলজ বৈচিত্রময় খাবার বেশি খেতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং ওয়ার্ল্ডফিশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ভবিষ্যত একুয়াটিক ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ইভেন্টে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন। আসন্ন ‘জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১’ কে সামনে রেখে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং খাদ্য ব্যবস্থা সংলাপের জাতীয় আহŸায়ক খাজা আব্দুল হান্নান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ফিশের, মহাপরিচালক ড. জনস্টোন গ্যারেথ। তিনি বলেন, ‘জলজ খাবার বাংলাদেশের নারী, শিশু নির্বিশেষ সব মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে’। মলা কার্প মিশ্র চাষ, মাছ ও অন্যান্য জলজ খাদ্য বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থাগুলির রূপান্তরে মূল নিয়ামক হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পরিবেশকে সুরক্ষিত করে জীবিকা নির্বাহের জন্য কীভাবে মৎস্য ও জলজ পরিবেশকে কাজে লাগানো যায়, বাংলাদেশ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বাংলাদেশের মৎস্য খাতের অভাবনীয় সাফল্যের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, সুষ্ঠু ইলিশ ব্যবস্থাপনার ফলে ইলিশের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুন হয়েছে এবং জেলেদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য বিজ্ঞানী, খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা পেশাজীবী ও নীতি নির্ধারকগণ সবার জন্য টেকসই, নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবারের জন্য জলজ খাবার গ্রহণের নানাদিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে ভবিষ্যতে করণীয় নিয়ে মতামত দেন। পরে আলোচকরা ৪টি দলে ভাগ হয়ে মতামত দেন।
ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলদেশের ড. বিনয় বর্মন ও ড. মো. নাহিদুজ্জামান, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার উম্মে কুলসুম, ড. মো. আবুল হাসানাত ও জিয়াউল হক , খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা, টেকসই জীবিকাসহ জলজ খাদ্য পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণী বিষয় নিয়ে আলোচিত অধিবেশনগুলি সঞ্চালনা করেন।
আলোচনায় অংশ নেন ২০২১ সালের বিশ্ব খাদ্য পুরষ্কার বিজয়ী এবং ওয়ার্ল্ডফিশের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গেøাবাল লিড ড. শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেড। তিনি জলজ খাদ্য সিস্টেমে রূপান্তরের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপরর জোর দেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পুষ্টিকর ও মাছ ভিত্তিক বৈচিত্র্যময় খাবার খাওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রবার্ট সিম্পসন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ড. মুটিসুঙ্গিলিরে কচুলু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।