বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যান ও আ'লীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা। আদালত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেজিস্ট্রিভুক্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অবহিত করার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা উচাখিলা ইউনিয়ন এলাকায় স্থানীয় এক কাঠমিস্ত্রি পরিবার-পরিজন নিয়ে উচাখিলা বাজারে বসবাস করে আসছিলেন। ওই বাসায় তার অনুপস্থিতিতে ইউপি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক প্রায়ই আসা যাওয়া করতেন।
এই অবস্থায় চেয়ারম্যান বাসায় আসার জন্যে স্বামী নিষেধ করায় শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ। এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেয়। পরে চেয়ারম্যানের পরামর্শে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আসমা তিন কন্যাসহ উচাখিলা বাজারে কৃষি বিভাগের সরকারি পরিত্যক্ত সিড স্টোরে বসবাস শুরু করেন।
এ বাসায় চেয়ারম্যান নিয়মিত যাতায়াত করার সুযোগে মিথ্যা প্রলোভনে ওই মিস্ত্রির মেয়ের (১৬) সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই কিশোরীকে কবিরাজি ওষুধ সেবন করান চেয়ারম্যান।
এতে রক্তক্ষরণ হওয়ায় গত ৯ মে কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস হাসপাতালে মারা যায়।
এদিকে কিশোরীর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই ঢাকা থেকে এনে বাবাকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে দাফন না করে, প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে জামিয়া গাফুরিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। পরে নিহতের বাবা বিষয়টি জানতে পেরে ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার বড় ভাই ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন জানান, কিশোরী ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ জেলা ও জজ আদালতে রোববার একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা যেন নৌকা না পাই এবং আমাদের হেয় করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এমনটি ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ মামলা করিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।