মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একেই বলে কপাল। রাতারাতি ধনকুবের হওয়ার সুযোগ পেতে পেতেও তা হাতছাড়া হওয়ার জোগাড়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাজিমাত। সব মিলিয়ে একবার নয়, দু’বার ভাগ্যের সহায়তায় কপাল ফিরল মার্কিন তরুণীর। অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তিতে তাই তার মুখে লম্বা হাসি। তিনি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা যে জিতেছেন।
ঠিক কী হয়েছিল? লি রোজ ফিয়েগা নামের ওই তরুণী শখ করে একটি লটারির টিকিট কাটেন স্থানীয় এক দোকান থেকে। যার প্রথম পুরস্কার ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কেনার পরই তার মনে হতে থাকে, তার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আর তাই সেটিকে ফেলে দেন। কিন্তু কী কপাল! সেই টিকিটই কিনা জিতে নিল এমন জ্যাকপট!
রোজ জানাচ্ছেন, ‘আমার তাড়া ছিল। লাঞ্চ চলছিল। তাড়াহুড়োয় টিকিটটা স্ক্র্যাচ করে দেখেছিলাম। তারপর মনে হল এমন নম্বর ঠিক বিজয়ীর মতো লাগছে না। তাই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।’
তরুণীর ছোঁড়ার পরে টিকিটটা লটারির দোকানের কাউন্টারের এক কোণে পড়েই ছিল। এভাবে দিন দশেক কেটে যায়। এরপরই সেটি কুড়িয়ে পান দোকানদারের ছেলে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সেই যুবক জানাচ্ছেন, ওই তরুণী মোটেও টিকিটটি স্ক্র্যাচ করেননি। তার কথায়, ‘একদিন সন্ধ্যায় আমি ওটাকে কুড়িয়ে পাই। টিকিটটা মোটেই স্ক্র্যাচ করা ছিল না। আমিই স্ক্র্যাচ করি। আর আবিষ্কার করি, এই টিকিটই জিতে নিয়েছে প্রথম পুরস্কার।’
এরপরই খবর যায় ওই তরুণীর কাছে। তিনি তো বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। আনন্দে কেঁদে ফেলেন রোজ। জড়িয়ে ধরেন দোকানদারকেই! এমন অভাবনীয় প্রাপ্তিতে দোকানদারের ছেলের প্রতি কৃতজ্ঞতায় তরুণী জানিয়ে দিয়েছেন, পুরস্কারের একটা অংশ তিনি দেবেন ওই দোকানদারের পরিবারকে। এমনিতেও বেশ কিছু অর্থপ্রাপ্তি ঘটেছে ওই দোকানদারের। তার বিক্রি করা টিকিট পুরস্কার পাওয়ায় বোনাস পেয়েছেন তিনি। সূত্র : দ্য ফ্রি প্রেস, ইকনোমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।