বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সের মেয়েদের বিয়ে করে অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়াই চক্রটির কাজ। চক্রটির বিয়েবাণিজ্যের ফাঁদে পড়ে গত ৯ মাসে প্রতারিত হয়েছে চারটি পরিবার।অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বিয়েবাণিজ্যের হোতা মো. নাঈম ওরফে রাজু (২৯)। আটকের পর বেরিয়ে এসেছে চক্রটির বিয়েবাণিজ্যের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। মো. নাঈম ওরফে রাজু কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের শিমুলকান্দী গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।
কটিয়াদী থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মো. নাঈম ওরফে রাজু গত ৯ মাসে ৪টি বিয়ে করেছে। এর মধ্যে কটিয়াদীতে ২টি, ভৈরবে ১টি এবং পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার মনোহরদীতে ১টি বিয়ে করেছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রতারক চক্রটির ৪/৫ জন সদস্য একসাথে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা করে আসছে। তাদের টার্গেট হচ্ছে, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সের মেয়েদের বিয়ে করে অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়া।বিয়ের পূর্বে এই চক্রের প্রত্যেক সদস্য ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করে। যেমন কেউ ছেলের বড় ভাই, কেউ চাচা, কেউ মামা, কেউবা ঘটক।
অনেকসময় চক্রটির হোতা প্রতারক নাঈম এতিম হিসেবে মেয়ের অভিভাবকদের সহানুভূতি নিয়ে প্রতারণা শুরু করে।
বিয়ের আগেই ঘটক কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর নতুন জামাই বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেয়া শুরু করে। টাকা দেওয়া বন্ধ হলেই প্রতারক নাঈম পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চক্রের সদস্যরা মিলে নতুন বিয়ের মিশনে নামে।
প্রতারক নাঈম ওরফে রাজুর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগও রয়েছে। যদি কেউ এই প্রতারকদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে থাকেন, তাহলে কটিয়াদী মডেল থানায় যোগাযোগের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।