পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল শব্দ বাদ দেয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরবতাকে সরকারের নীতিহীন অবস্থান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ইসরাইলী বিমানের মুহুর্মুহু হামলা ও ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপে যখন ফিলিস্তিনের গাজা নগরী মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল ভ্রমণের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যা হতাশ করেছে গোটা বিশ্ববিবেককে। গতকাল সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ২৩ মে ফিলিস্তিন বিরোধী ঔই সিদ্ধান্তে ইসরাইল সরকারের অভিনন্দন-টুইটের প্রেক্ষিতে তা অস্বীকার করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সরকারের পজিশন ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরবতা গোটা বিষয়ে সরকারের নীতিহীন অবস্থান বেরিয়ে এসেছে।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের বক্তব্যকে তাৎপর্যময় অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই দুই রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান। সংঘাতের মূল কেন্দ্র জেরুজালেম নগরে আন্ত:সাম্প্রদায়িক লড়াই বন্ধ করার প্রতি জো-বাইডেনের উদাত্ত আহবান সংকট সমাধানে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মার্কিন গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকদের দৃঢ় সমর্থনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সুস্পষ্ট বর্হি:প্রকাশ। বিএনপি ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট নিরসনে এই ধরনের সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন ও তার দেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং অসলো চুক্তির আলোকে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট সমাধানে ইসরাইলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’র ঘোষণা বাস্তবায়নের পথ সুগম করাই হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। চলমান হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ায় আনার উদ্যোগসহ দুই রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জাতিসংঘের নেতৃত্বে অতিসত্ত্বর কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব। ফিলিস্তিন সংগ্রাম ও তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করতেই বিকালে জরুরী এই সংবাদ সম্মেলন আহবান করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ওআইসি, জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন-ন্যামসহ মুসলিম দেশসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করার বিভিন্ন উদ্যোগ, পরবর্তীকালে দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি সেই একই নীতি ও অবস্থান অব্যাহত রাখার বিষয়গুলো তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও মানবততার পক্ষের শক্তি হিসেবে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিজয়ী হবার আগ পর্যন্ত আমরা সার্বিকভাবে তাদের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আমাদের দল ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে যুদ্ধাহতদের জন্য ঔষধ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত ছিলো তা জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের তরফ থেকে প্রথমেই যে উদ্যোগটা গ্রহন করা উচিত ছিলো সেটা হচ্ছে সরকার প্রধানের উদ্যোগ। এখন আপনারা বলেন যে, সরকার প্রধান যিনি, তিনি নাকী বিশ্বনেতা। তিনি তো উদ্যোগ নিতে পারতেন সমস্ত মুসলিম দেশগুলোকে আহবান জানিয়ে যে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের পক্ষ দাঁড়াতে। তিনি (সরকার প্রধান) তো সরকারের পক্ষে অনেক বড় রকমের সহযোগিতা পাঠাতে পারতেন, সাহায্য পাঠাতে পারতেন ফিলিস্তিনিদের কাছে। ঘটনা হচ্ছে হেজ বিন ডান এট ইয়েট।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।