পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ ৪৯ দিন পরে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সারা দেশের সড়ক ও নৌযোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিয়ে কারো তেমন কোন গরজ লক্ষ্য করা যায়নি। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্ত্বম বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নৌবন্দর ও শতাধিক লঞ্চঘাট আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাক্কালে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক ও নৌযোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
অপরদিকে গত বছর ২৫ মার্চ থেকে করোনার প্রথম ঢেউ এবং চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে নৌযোগাযোগ বন্ধ থাকায় চরম বিপর্যয়ে পরে বেসরকারি নৌপরিবহন খাত। দু’দফায় প্রায় ৫ মাস নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় অন্তত ২৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ নৌযান মালিকই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারেননি। নৌযান শিল্পে বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও আটকে গেছে মাসের পর মাস।
বিপর্যস্ত নৌযান মালিক-কর্মচারীরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। এ অবস্থায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ায় গতকাল সকাল থেকেই অভ্যন্তরীণ রুটসহ রাজধানীর সাথে সড়ক ও নৌযোগাযোগ চালু হয়েছে। ঢাকার সদরঘাট থেকে সকাল ৮টায় ৩টি ক্যাটামেরন বরিশাল ও ভোলার উদ্দেশে যাত্রা করলেও তাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করার অভিযোগ ছিল। অথচ স্বাস্থ্যবিধির অজুহাতে লোয়ার ডেকের ভাড়া ১শ’ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুপুরে এসব নৌযান বরিশাল ও ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা ফিরতি যাত্রা করেছে। গতকাল বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা নদী বন্দরসহ ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের বিভিন্ন লঞ্চঘাট থেকে অন্তত ৩০টি নৌযান ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। তবে নৌযানগুলোর ডেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়নি। মালিকপক্ষ অবশ্য বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনও আজ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও মিনিবাস টার্মিনাল থেকে যেসব স্থানীয় ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু করেছে, তার অধিকাংশেরই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিল না। শুধুমাত্র বিআরটিসি বাস ছাড়া কোন বাসেই অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন নজরদারি লক্ষণীয় ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।