প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা ভারত। কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটে রোগ মোকাবিলার চেষ্টায় আছে প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই উঠছে হাসপাতালে বেড এবং অক্সিজেনের আকালের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের ভাল রাখার উদ্যোগ অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহানের। একটি পলিটেকনিক কলেজে সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খুললেন তিনি।
কম উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীরা নুসরাত জাহানের উদ্যোগে তৈরি ওই সেফ হোমে থাকতে পারবেন। হাসপাতালের বেড এবং অক্সিজেন নিয়ে যখন হাজারও অভিযোগ উঠছে তখন এই সেফ হোমের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এছাড়াও কোভিড আক্রান্ত এবং দুস্থ পরিবারের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলবে খাবার। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন খোদ তৃণমূলের তারকা সাংসদ। ওই সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেনের পরিষেবা পাওয়ার জন্য ফোন নম্বরও শেয়ার করেছেন নুসরাত।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের এই উদ্যোগকে নেটদুনিয়ায় বাহবা জানিয়েছেন অনেকেই। করোনা কালে এই সেফ হোম এবং কমিউনিটি কিচেন খোলার ভাবনা সত্যিই যথেষ্ট ভাল বলেই জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে অনেকেই আবার তার এই কাজের সমালোচনাতেও মুখর। সাংসদ হিসাবে নুসরাত সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি বলেই দাবি তাদের।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার নেটদুনিয়ায় সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাকে। মুসলমান পরিবারের সন্তান হয়ে শাঁখা, পলা পরা হোক কিংবা সাহসী পোশাকে ফটোশুট করে বারবার নেটিজেনদের তীর্যক মন্তব্যের শিকার হন তিনি। প্রতিবারের মতো এবারও সমালোচনায় কান দিতে নারাজ নুসরাত। পরিবর্তে বসিরহাট বিধানসভার প্রতিটি কেন্দ্রে সেফ হোম তৈরির কথা ভাবছেন তিনি। স্থানীয় নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব হত না বলেও জানিয়েছেন নুসরাত। বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে সকলকে কোভিড বিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।