নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। ফলে জিততে হলে ২৫৮ রান করতে হবে সফরকারীদের।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটা দেখে-শুনেই খেলেন টাইগার দলনেতা তামিম ইকবাল। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই চামিরার বলে কট-বিহাইন্ড হন আরেক ওপেনার লিটন। ৩ বল খেলে কোনো রানই তুলতে পারেননি তিনি। এখন ক্রিজে যথাক্রমে ৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তামিম ও সাকিব।
দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা ধীর গতিতে খেলতে থাকেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গুনাথিলাকার বলে নিশানকার হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩৪ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ছন্দেই ব্যাট করছিলেন তামিম। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৫৬ রান। এদিকে টাইগার অধিনায়ক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম অর্ধশত রান পূর্ণ করার পর ৫২ রানে আউট হন। পরের উইকেটে ব্যাট করতে আসা মোহাম্মদ মিঠুন ফিরেছেন শূন্য রানেই।
এদিকে পঞ্চম উইকেট জুটিতে খুঁটি গেড়ে খেলছতে থাকেন মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম অর্ধশত রান পূর্ণ করে লঙ্কান স্পিনার সান্দাকানের বলে উদানার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশি। ৪ চারে এবং একটি ছয়ে ৮৭ বলে করেছেন ৮৪ রান।
মুশফিক আউট হওয়ার পর হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে অবস্থান করতে পারেননি তিনি। ৭৬ বলে করেন ৫৩ রান।
শেষদিকে ২২ বলে ২৭ রান তুলেন আফিফ হোসেন। এছাড়া ৯ বলে ১৩ রান করেন সাইফউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
ফিফটি করে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও
ডেথ ওভারে উঠেনি প্রত্যাশিত ঝড়। মাহদুউল্লাহ পারেননি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। ফিফটির পর ফিরে গেলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়ে। ফুল লেংথ বলের লাইন মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। অনিয়মিত অফ স্পিনার পেয়ে যান তৃতীয় উইকেট। ৭৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ডেথ ওভারে তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো বাউন্ডারি।
৪৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২৩৩। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
লড়াকু এক ফিফটিতে দলকে টানছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কাজ শেষ হয়নি। শেষের ঝড়ের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে দল। ডেথ ওভারের প্রথম অর্ধটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে যোগ করতে পেরেছে কেবল ২২ ওভার। আড়াইশ ছাড়ানো একটা সংগ্রহ পেতে স্বাগতিকরা তাকিয়ে নির্ভরযোগ্য ফিনিশার মাহমুদউল্রাহর দিকে।
৪৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২১৫। মাহমুদউল্লাহ ৭২ বলে ৫১ রানে ব্যাট করছেন। আফিফ হোসেনের রান ৫ বলে ২।
দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ফিরলেন মুশফিক
পরিস্থিতির দাবি মেটানোর চেষ্টায় ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। লাকশান সান্দাক্যানকে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারির চেষ্টায় ফিরলেন শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে। জায়গা থেকে একটুও নড়তে হয়নি ইসুরু উদানার। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান তিনি। ভাঙে ১২২ বল স্থায়ী ১০৯ রানের জুটি। ৮৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৪ রান করে ফিরেন মুশফিক।
৪৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২১০ রান। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ হোসেন। ফিনিশারের ভূমিকায় খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পেয়েছেন নিজের সামর্থ্য দেখানোর আদর্শ মঞ্চ।
মুশফিকের ফিফটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
ফিফটি করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু আউট হয়েছেন মাত্র ২ রান যোগ করে। ক্রিজে এসে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে মোহাম্মদ মিথুন ফেরেন প্রথম বলেই। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ৫৫ বলে ৪৩ রান। মুশফিক ৫২ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফসেঞ্চুরি।
বাংলাদেশ: ১৯০/৪, ৩৩ ওভার (রিয়াদ ৪২*, মুশফিক ৭০*)
ফিফটির পর আউট তামিম, শূন্যতেই শেষ মিঠুন
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জমে গিয়েছিল জুটি। আগের ওভারে ফিফটি পেয়েছিলেন তামিম, জুটি ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ। বাড়তে শুরু করেছিল রানের গতি। এমন সময়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন তামিম। পরের বলে প্যাডল সুইপের চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে হারাল দুটি রিভিউ।
ধনাঞ্জয়ার বলের লাইন বুঝতে পারেননি তামিম। ইয়র্কার লেংথের বল তার ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে পায়ের নিচের দিকে। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি, ৭০ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ক্রিজে গিয়েই অফ স্পিনারের বলে প্যাডল সুইপ করেন মিঠুন। কোনো দরকার ছিল না এমন শটের। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন তিনিও কিন্তু পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরেন শেষ রিভিউটাও নষ্ট করে।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২০। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের (৩৬) সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ (১২)। অনেকবার দলকে রক্ষা করা দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে আবারও বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্ব।
হাঁসফাঁস করে শেষ সাকিব
উইকেটে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়েও ছন্দ পাচ্ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ধুঁকছিলেন রান বের করতে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলে তিনি বিলিয়ে এলেন উইকেট।
ত্রয়োদশ ওভারের সেটি প্রথম বল। দানুশকা গুনাথিলাকার ফ্লাইটেড বলটিতে বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু বলের কাছে যেতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় লং অনে পাথুম নিসানকার হাতে।
সাকিবের অস্বস্তিময় ইনিংস শেষ ৩৪ বলে ১৫ রান করে। থামল তামিম ইকবালের সঙ্গে তার ৬৪ বলে ৩৮ রানের জুটি। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫৪। তামিম খেলছেন ২৮ রান নিয়ে। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসা মুশফিকের ঝুলিতে ৭ রান।
এর আগে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে লিটন দাসকে হারিয়ে ৪০ রান করে বাংলাদেশ।
শূন্যের সপ্তমে লিটন
ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও তার উপর আস্থা রেখেছিলেন টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে সেই আস্থার প্রতিদান এবারও দিতে পারলেন না লিটন দাস। আগের ৬ ওয়ানডেতে ব্যর্থ এই ওপেনার এবার ফিরলেন শূন্য রানে। ৪৩ ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের এটি সপ্তম শূন্য, সবশেষ সাত ইনিংসে তৃতীয়।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন দুশমন্থ চামিরা। বলটা এমন আহামরি কিছু ছিল না। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ বল, স্লটেই পেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু একটু আউট সুইং করা বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি তিনি। প্রথম স্লিপে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
সেই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন তিনে ফেরা সাকিব আল হাসান। আগের ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারিতে রানের দেখা পান তামিম ইকবালও।
দুজনের জুটি জমে উঠেছে। ৮ ওভার শেষে ঐ এক উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭। তামিম থেলছেন ১২ রানে, পছন্দের তিনে ফেরা সাকিবের ঝুলিতেও সমান রান।
আফিফকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা দলে করোনাভাইরাসের হানায় সকালে ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে তা কাটিয়ে শুরু হচ্ছে খেলা। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডের একাদশে বাংলাদেশ রেখেছে তিন পেসার। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সাত নম্বরে খেলানোর ভাবনায় একাদশে রাখা হয়েছে আফিফ হোসেনকে।
মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে সাকিব আল হাসান ফেরায় স্পিন শক্তিতেও পরিপূর্ণ তামিম ইকবালের দল।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
নেই ডিকভেলা-দনাঞ্জয়া
শ্রীলঙ্কা তাদের একাদশে রেখেছে দুই পেসার। গতিময় দুশমন্ত চামিরার সঙ্গে আছেন বাঁহাতি ইশুরু উদানা। উদানার খেলা নিয়ে অবশ্য সকালে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। খেলার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় উদানাসহ শ্রীলঙ্কার তিনজনের করোনা পজিটিভ খবর পাওয়া যায়। আরেক দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে উদানা ও পেস বোলিং কোচ চামিন্দা ভাসের।
তবে ফের পজিটিভ আসায় পেসার শিরান ফার্নান্দোকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে। একজন খেলোয়ায় কোভিড-১৯ পজিটিভ থাকলেও আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী খেলা চালিয়ে যেতে কোন বাধা নেই।
প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও প্রথম ওয়ানডেতে দলে জায়গা হয়নি কিপার-ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলার। অধিনায়ক ও ওপেনার কুসল পেরেরাই দাঁড়াবেন উইকেটের পেছনে। এই ম্যাচ দিয়ে নেতৃত্বের অভিষেক হচ্ছে বিস্ফোরক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড বেশ ভালো আকিলা দনাঞ্জয়ার। একাদশে জায়গা হয়নি তারও। দলের মূল দুই স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও লাকশান সান্দাক্যান। দুই জনই রিস্ট স্পিনার।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : কুসল পেরেরা, দানুশকা গুনাথিলেকা, পাথুম নিশানকা, কুসল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা, আসেন বান্দারা ওয়েইন্দু হাসারাঙ্গা, ইশুরু উদানা, লাকসান সান্দাকান, দুশমন্ত চামিরা।
সুপার লিগের পয়েন্টের লড়াই
বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশড করে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে হয় উল্টো অভিজ্ঞতা। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে দলটি। সিরিজে দুটি জয় দলকে নিয়ে যাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
সুপার লিগে এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি শ্রীলঙ্কা। উল্টো মন্থর ওভার রেটের জন্য হারিয়েছে দুই পয়েন্ট।
২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলের চেহারা আমূল পাল্টে ফেলেছে ১৯৯৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। কুসল পেরেরা ও কুসল মেন্ডিসের নেতৃত্বে তারুণ্য নির্ভর একটি দল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।