Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগ সভাপতির ওপর হামলার প্রধান আসামি পৌর কাউন্সিলর আটক

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ৩:০০ পিএম

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেলকে (৪৩) আটক করেছে পুলিশ।
সে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী এবং পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের যুগি সাত্তার বাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের নিজবাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামী সে। ওই মামলায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে আটক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে রাত ৮টা ২০মিনিটের দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান (৭১) ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বাড়ি থেকে বসুরহাট বাজারে আসার পথে পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল এলাকায় পৌঁছলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাসেল ও একই ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আইনাল মারুফের নেতৃত্বে ৮-১০জন আমার রিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে রাত ১২টার দিকে ভুক্তভোগী খিজির হায়াত খান নিজেই বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, এরআগে গত ৮ মার্চ বিকাল পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলার এক পর্যায়ে খিজির হায়াতকে ওই কক্ষের ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়। তারা এ সময় তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং পরনের পাঞ্জাবি ঁিছড়ে ফেলে। ওই হামলায় খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন। তখন তিনি এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলেও কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ