বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তহুরা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মান্দা থানায় মামলাটি করেন নিহত তহুরা বেগমের মা সুফিয়া বেগম। ঘটনায় মামলার পর আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত তহুরা বেগমের স্বামী উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর জংলিপাড়া গ্রামের মাসুদ রানা (৩২), শ্বশুর আব্বাস আলী (৫২), শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৫) ও ননদ রিনা পারভীন (২২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে তহুরা বেগমের সঙ্গে নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর জংলিপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মাসুদ রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী পরিত্যক্তা ননদ রিনা পারভীন ও শাশুড়ি শহিদা বেগমের প্ররোচনায় মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে আসছিল মাসুদ রানা। মামলার বাদী সুফিয়া বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে জামাই মাসুদ রানাসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মেয়ে তহুরার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। নির্যাতনের এসব বিষয় মেয়ে মুঠোফোনে অবহিত করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, জামাই পরিবারের লোকজন মেয়ে তহুরাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ তহুরা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর জংলিপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ তহুরা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে স্বামী মাসুদ রানাসহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।