মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দখলদার ইহুদীবাদী সরকার কর্তৃক অব্যাহত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজা ও পশ্চিম তীর ইস্যুতে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বৃটিশ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন ব্যারোনেস সাঈদা ওয়ারসি।
বৃটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসের এই প্রভাবশালী সদস্য ফিলিস্তিনে অবৈধ দখলদারিত্ব এবং গাজা, পশ্চিম তীরে ইসরাইলের অসম হামলার বিরুদ্ধে বৃটিশ সরকার ইসরাইলকে তিরস্কার করতে কপটতা এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি হাউজ অব লর্ডসে ঝড় তোলেন। একের পর এক যুক্তিতর্ক দিয়ে বৃটিশ সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, সরকার বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার দাবি করে। কিন্তু তারা (ফিলিস্তিন-ইসরাইলে) দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায়। একই সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হামলা বন্ধে।
হাউজ অব লর্ডসে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের একটি নীতি গ্রহণ করেছি। অথবা আমরা ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিই না। এমনকি মন্ত্রীরা এর নাম পর্যন্ত নিতে অস্বীকৃতি জানান। আমাদের শান্তি প্রক্রিয়ার একটি নীতি আছে। কিন্তু কোনো একটি প্রক্রিয়া শুরু বা অগ্রাধিকার দেয়ার কোনো লক্ষণ নেই। তারপর আমরা দেখেছি, আমাদের সরকারের হৃদয়ে এখন যা, তা হলো- তারা তাদের নিজেদের বর্ণিত নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে।
ব্যারোনেস ওয়ারসি বলেন, আমাদের একটি নীতি বা পলিসি হলো, বসতি স্থাপন অবৈধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। কিন্তু যখন প্রতি বছর ইসরাইল সরকার নতুন নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন দিচ্ছে, তখন কোনো পরিণতি দেখতে পাই না। তারা এভাবে ফিলিস্তিনি ভূমি গ্রাস করে নিচ্ছে। আমরা ইসরাইলকে বসতি স্থাপন, জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া বন্ধে কিছুই করছি না।
বৃটেনে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের মন্ত্রীপরিষদের সাবেক এই সদস্য হাউজ অব লর্ডসকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, শান্তি প্রক্রিয়ায় সরকার দখলীকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অখ- অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু যখনই অবৈধ দখলদাররা ফিলিস্তিেিনর কয়েক শত বছরের স্থাপনা বাড়িঘরে প্রবেশ করে, তাদেরকে জোর করে উচ্ছেদ করে, তারপর সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন করে- তখন বৃটিশ সরকার তার গৃহীত নীতি অনুযায়ী কাজ করে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) অর্থায়ন ও সমর্থন দেয়া এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে বলে এর নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইল সরকার যে যুদ্ধাপরাধ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বিরোধিতা করছে সরকার। ব্যারিস্টার সাঈদা ওয়ারসি বলেন, প্রতিবার আমরা আমাদের নীতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হই। আর এর মধ্য দিয়ে আমরা উগ্র ডানপন্থি ইসরাইলি সরকারকে আমাদের তরফ থেকে একটি বার্তা দেই। তাহলো, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল যা-ই করবে তার জন্য কোনো মূল্য দিতে হবে না। ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থি কট্টরতার উত্থান ঘটাতে এর মাধ্যমে পুরোপুরি দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনে যে নিষ্পেষণ চলছে, সেখানকার মানুষদের যে দুর্দশা সে বিষয়ে জনগণকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।