বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৫০৩ তম সিন্ডিকেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ৩ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ কর্মকর্তার চাকরি যদি বৈধ হয়, তাহলে গত ৬ মে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি কেন বৈধ হবে না- মর্মে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রাপ্তরা। বুধবার দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, গত ১০ ডিসেম্বর-২০২০ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার পরও ১২ ডিসেম্বর ৩ জনকে স্থায়ী ও গত ১১ জানুয়ারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে একজনকে এডহক ভিত্তিতে মানবিক কারণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়োগ যদি বৈধ হয়, তাহলে আমাদের নিয়োগ কেন অবৈধ হবে। এছাড়া এডহক নিয়োগ বন্ধ রাখতে ২০০৯ সালেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে নিজ অধ্যাদেশ বলে এডহক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান বলেও দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাত শতাধিক পদ দীর্ঘ দিন যাবত শূন্য রয়েছে। আমরা উক্ত শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগায়োগ করে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেই। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারেননি। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান গত ০৫ মে ১৯৭৩ সালের বাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২(৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে শূন্য পদের বিপরীতে আমাদেরকে এডহক ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য স্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে প্রাপ্ত নিয়োগপত্রের আলোকে ০৬ মে তারিখে যোগদান করি।
তিনি আরো বলেন, 'গত ০৬/০৫/২০২১ তারিখে আমাদের যোগদান প্রক্রিয়া চলাকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং আমাদের নিয়োগকে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত, আখ্যায়িত করে। যদিও ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২(৫) ধারা মোতাবেক, এই নিয়োগকে অবৈধ বলার কোনো সুযোগ নেই। নিয়মানুযায়ী, এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণার আগে, ৭৩ এর অধ্যাদেশ-এর উপরিউক্ত ধারা বাতিল করা উচিত ছিল বলে আমরা মনে করি।'
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, 'দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালামকে দিয়ে আমাদের যোগদানের চলমান প্রক্রিয়া গত ০৮ মে তারিখে স্থগিত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। আমাদের জানামতে, নিয়মিত ভিসির প্রদানকৃত নিয়োগ, দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি স্থগিত করতে পারেন না।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।