বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর সাপাহারে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দু’টি গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২জন গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সাপাহার সিন্ডবি ডাকবাংলো মোড়ের নতুন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর সাপাহার হতে আম পরিবহনে নিয়োজিত গাড়ি সমূহ হতে টোল আদায় ও টাকা ভাগাভাগীর বিষয় নিয়ে নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্রাংক, লড়ি ও ক্যাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন (২৬৫০ ও ২৬৫৮) নামের দু’টি গ্রুপ এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চরম বিরোধ চলে আসছিল। সামনে আম মৌসুমকে কেন্দ্র করে যাতে উভয় গ্রুপের মধ্যে কোন বিরোধ না হয় সে বিষয় নিরসনের লক্ষে ঘটনার দিন দু’টি গ্রুপের নেতা কর্মীগন সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসির) ডাকে দুপুরে থানায় আলোচনায় বৈঠকে বসে। উভয় সংগঠনের জেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে আবার ঐ দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানায় বসার সিদ্ধান্ত দিয়ে খাবারের জন্য বৈঠকের বিরতি দেয়া হয়। উভয় পক্ষের লোকজন দুপুরের খাবারের জন্য স্ব-স্ব বাড়ীর দিকে রওয়ানা হন। এরই মধ্যে (২৬৫০) গ্রুপের বর্তমান সভাপতি মহরম আলী তার লোকজন নিয়ে সদরের গোডাউন পাড়ায় তার নিজ বাসায় যাওয়ার পথে নতুন বাসষ্ট্যান্ডে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ শ্রমিক সংগঠন (২৬৫৮) এর কিছু লোকজন এ সময় তাদের পথ রোধ করে ও মহরম আলীকে ধরে এলোপাথাড়ি ভাবে মার পিট করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে এ ঘটনা দুপক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দুই সংগঠনের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষেয় প্রায় ১১/১২ জন গুরুত্বর আহত হয়। আহতরা হলো ,আলী হাসান (২৮) বুকে টেঁটা বিদ্ধ, আব্দুস সালাম (৫০), ২৬৫০ এর সভাপতি মহরম আলী,সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, পত্নীতলা শাখার সহ সভাপতি আয়ুব আলী, দৈনিক সন্ধ্যাবাণী পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ও মানবাধিকার কর্মী মাহবুবুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, রাসেল, মিজানুর রহমান, সোহেল, লুৎফর রহমান সহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য আলী হাসান ও আব্দুর সালাম,ও সোহেল কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ দিকে ঘটনার পর থেকে দুপক্ষের শ্রমিকরে মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। সৃষ্ট ঘটনার জন্য ক্ষতিগ্রস্থরা থানায় মামলা দিলে তিনি মামলা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে ঘটনাস্থল নতুন বাসষ্ট্যান্ড মোড় ও হাসপাতাল মোড়ের আইনশৃঙ্খলা বাজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।