Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাবাজার-দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ

সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে ৪০ বার খালি ফেরি বাংলাবাজারে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এ কারণে দেশের প্রধান দুই নৌরুট বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে প্রতিবেদন-

শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ফেরা যাত্রী চাপ অনেক গুণ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিমুলিয়া থেকে অন্তত ৪০ বার খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হয়েছে। যাত্রী পারাপারে অতি অগ্রাধিকার দিচ্ছে বিআইডবিøউটিসিসহ কর্তব্যরত সংস্থাগুলো। এদিনও প্রচন্ড গরমে বেশ কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

বিআইডব্লিউটিসিসহ ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে ঢাকামুখী যাত্রী চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী চাপ আরো বৃদ্ধি পায়। এদিন দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রী চাপও অব্যাহত ছিল। উভয়মুখী যাত্রী চাপ বাড়ায় ফেরিগুলো যাত্রী বেশি নিয়ে কম যানবাহন নিয়ে পার হয়। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে অন্তত ৪০ বার খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হয়। ফেরিতে যাত্রীদের গাদাগাদি রোধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, নৌ পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন রয়েছে। এদিনও প্রচন্ড গরমে বেশ কয়েকজন ফেরির যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে যাত্রীরা কয়েকগুণ ভাড়া গুনে মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌছাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। যাত্রী চাপ সামাল দিতে অন্তত ৪০ বার শিমুলিয়া ঘাট থেকে খালি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আনা হয়। খালি ফেরি ঘাটে পৌছা মাত্রই যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আবার শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণ জনপদের কর্মজীবী মানুষ স্বজনদের সাথে ঈদ কাটিয়ে গাদাগাদি করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরিতে নদীপার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকেই শত শত যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসতে শুরু করে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছে শত শত ঢাকামুখী মানুষ। সেই সাথে পার করা হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল। লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের গন্তব্য স্থানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্য স্থানে ফিরছেন তারা।

কুষ্টিয়া থেকে আগত ঢাকামুখী যাত্রী রাজিব বলেন, ঢাকায় না গেলে আমার চাকরি থাকবে না। আমি নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। তাই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। মাদারীপুর থেকে আগত লাইলী বেগম বলেন, আমি ঢাকায় একটি মেসে রাধুনির কাজ করি। আজ যদি না যাই তাহলে তারা তাদের রান্না করার জন্য অন্য মহিলাকে নিয়ে নিবে। তখন আমি বেকার হয়ে গেলে কি করে খাবো। সে কারণে আমি করোনাভাইরাসকে ভয় পাচ্ছি না। আমাকে আজ ঢাকায় যেতেই হবে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক ফিরোজ খান বলেন, ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচন্ড চাপ রয়েছে। তবে ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। সেই সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্স যাত্রীদের সঙ্গে পারাপার করা হচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ