বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হানিফ খানকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় এ সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের আরো ৫ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে এবং এ সময় পিরোজপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সোবাহান আহত হয় বলে জানান পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।
আহতরা হলো কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হনিফ খান (৪৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের মো: আলী খানের ছেলে, মিজান শেখ (৩৮) সদর উপজেলার কদমতলা এলাকার সোবাহান শেখের ছেলে, মুনান খান (১৯) চলিশা এলাকার আফতাব আলীর ছেলে, লিটন খান (৪০) সদর উপজেলার কদমতলা এলাকার মো: আলী খান এর ছেলে ,তন্ময় গাজী (২০) সদর উপজেলার চলিশা এলাকার টেনু গাজীর ছেলে, তাজুল ইসলাম (২২) সদর উপজেলার নামাজপুর এলাকার মো: রাকিব শেখের ছেলে। আহতরা পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খান উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান জানান, তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ঈদের পরে কুশল বিনিময়ের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় বায়জিদ ও সিহাবের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদার, সজিব সিকদার, বক্কর, সোহেল খান, সাহেদ, বাবুল, শহীদ, আনিচ, এনায়েত সিকদার সহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তার উপর সহ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপরে বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং তার সাথে থাকা প্রায় ৭/৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পুলিশ তাদের বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় সদর থানার ওসি (অপারেশন) গুরুতর আহত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান আরো অভিযোগ করে জানান, নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তাকে পরাজিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হামলা করছে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনাস্থলে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ইরান জানান, নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের হত্যা করার জন্যই সন্ত্রাসীরা এ হামলা করেছে। সন্ত্রাসীরা তাদের উপর গুলি করে এবং বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ছোটা-ছুটি শুরু করলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামীলীগের সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খানসহ ৬ জন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী আহত হয়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় মজুমদার জানান, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খান উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার পরপরই তৎক্ষণাৎ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশও আহত আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।