ম্যাচের প্রথম ভাগে কিছুটা ভুগলেও বিরতির আগেই দারুণ দুটি গোলে নিয়ন্ত্রণ নিল জুভেন্টাস। পরে দ্বিতীয়ার্ধে খুঁজে পেল ছন্দ। আক্রমণাত্মক ফুটবলে চ্যালেঞ্জ জানানো সাস্সুয়োলোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখল আন্দ্রেয়া পিরলোর দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে সিরি'আর ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে জুভেন্টাস। আদ্রিঁও রাবিও দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গিয়াকোমো রাসপাদোরি ব্যবধান কমানোর পর গত ৯ বারের চ্যাম্পিয়নদের তৃতীয় গোলটি করেন পাওলো দিবালা।
শীর্ষ চারের লড়াইয়ে থাকা অন্য দলগুলোও জয় পাওয়ায় আগের মতোই পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরেই আছে জুভেন্টাস।
গত জানুয়ারিতে আসরে প্রথম দেখায়ও সাস্সুয়োলোকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল জুভেন্টাস।
চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের পারফরম্যান্সে সবচেয়ে বড় অভাব ধারাবাহিকতার। শক্তিশালী দল নিয়েও কখনোই সেভাবে টানা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা। এই ম্যাচেও প্রথমার্ধে তাদের ওপর বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করে সাস্সুয়োলো।
তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ভুগতে হয় পয়েন্ট তালিকার আট নম্বর দলটি। অন্যদিকে, তুলনামুলক কম সুযোগ তৈরি করেও দারুণ দুটি গোলে বিরতির আগে নিয়ন্ত্রণ নেয় জুভেন্টাস।
পঞ্চদশ মিনিটেই বিপদে পড়তে পারতো তারা, বেঁচে যায় জানলুইজি বুফ্ফনের নৈপুণ্যে। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ড গিয়াকোমো রাসপাদোরিকে ডি-বক্সে লিওনার্দো বোনুচ্চি ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাস্সুয়োলো। দোমেনিকো বেরার্দির স্পট কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন ৪৩ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
খেলার ধারার বিপরীতে ২৮তম মিনিটে আদ্রিওঁ রাবিওর নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। ফেদেরিকো চিয়েসার পাস ধরে ডান দিক থেকে বাঁয়ে ছুটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন ফরাসি মিডফিল্ডার।
পিছিয়ে পড়ে আরও চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা। ৪০তম মিনিটে পেদ্রো ওবিয়াংয়ের শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে জাল অক্ষত রাখেন মৌসুম শেষে ইউভেন্তুস ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া বুফ্ফন।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। রাবিওর পাসে প্রথম ছোঁয়ায় বল সামনে বাড়ানোর ফাঁকে ফাঁকি দেন এক ডিফেন্ডারকে। এরপর বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। গড়েন জুভেন্টাসের হয়ে দ্রুততম একশ গোলের রেকর্ড।