Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মিতুর বাবার যত অভিযোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ৪:৩৫ পিএম

পাঁচ বছর পর মাহমুদা খানম মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জামাই বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করার পরে মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে এক এনজিও কর্মীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তার মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঝগড়া হয়। পারিবারিকভাবে তারা বিষয়টি সমাধানেরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি। একপর্যায়ে বাবুল ও ওই নারী মিতুকে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি সাতজনের নাম আগের মামলায় পুলিশের তদন্তে এসেছিল। আসামিরা হলেন বাবুল আক্তার, কামরুল সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোহাম্মদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ সাজু ও মোহাম্মদ কালু।

মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বাবুলের পরিকল্পনায় আসামিরা তার মেয়েকে হত্যা করেন। ২০১৩ সালে বাবুল যখন কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখন এনজিওর এক মাঠকর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ঘটনার পর মোশাররফ হোসেনের বাসায় ছিলেন বাবুল। মামলা করতে দেরি কেন করলেন? এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে মিতুর বাবা বলেন, একই ঘটনায় দুটি মামলা হয় না। পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরে তিনি মামলা করেছেন।
মিতু হত্যা, বাবুল আক্তারের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রির্পোট) আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, স্ত্রী হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। বাবুল মামলার বাদি।

তিনি বলেন, মিতু হত্যার তিনদিন পর বাবুল আক্তার তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে লাভের অংশ থেকে তাকে তিন লাখ টাকা দিতে বলেছিলেন। সাইফুল বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা গাজী আল মামুনের কাছে পাঠান। মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেয়। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

গত মঙ্গলবার বাবুলের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ও মামুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দীনের আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। সেখানে দুজনই বাবুলের নির্দেশে মিতু হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ