Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদ হোক আনন্দময় ও অশ্লীলতামুক্ত

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঈদ উপলক্ষে মানুষ নানাভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। কিন্তু মুসলমান ইচ্ছা করলেই নিজের মতো করে কোন কাজ করতে পারে না। তার অনুমোদন নিতে হয় মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন থেকে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, রসূলের মাঝেই তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। এক্ষেত্রে হাদীসে শুভেচ্ছার পদ্ধতি বলা হয়েছে, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম সলিহাল আমাল। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ও আপনাদের পক্ষ থেকে সব নেক আমল কবুল করুন। সুবহানাল্লাহ! কত সুন্দর শুভেচ্ছার পদ্ধতি!

আমরা রমজান ভর নানা ধরনের আমল করলাম। আমরা সবাই আল্লাহর তা‘আলার কাছে এটাই কামনা করব যে, তিনি যেন আমাদের সবার সব নেক আমল কবুল করে নিন। এত পরিশ্রমের পর যদি নেক আমলসমূহ কবুল হয়ে যায় তাহলে তো জীবন সফল।

ইসলামে ঈদ ইবাদাত ও আনন্দের। ঈদের মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ ইবাদতের পূর্ণতা আসে। মু’মিন-মুসলিমগণ ঈদের আনন্দে আল্লাহর নিয়ামাতের প্রকাশ ঘটাতে পারে, ঈদ ইসলামী ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠে এবং ঐক্য ও সংহতির পরিচয় হিসেবে পরিগণিত হয়। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র খাদ্যদ্রব্য ও সৌন্দর্যময় পোশাক সম্ভার যা হালাল করেছেন সে সবকে ভোগ করে ঈদে আল্লাহর বিশ্বাসী বান্দাগণ আনন্দে অবগাহন করে থাকেন।

সিয়াম শেষ করে খাদ্য গ্রহণের অবারিত সুযোগ লাভই হলো ঈদুল ফিতর। সিয়ামের দিনগুলোর পূর্ণতা সাধন পূর্বক আল্লাহর মহিমা ঘোষণা উপলব্ধির মধ্য দিয়ে বান্দা তার মহা মনিবের কৃতজ্ঞতার পথ খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। বান্দা চিত্তজুড়ে আনন্দের পরম পুলক অনুভব করে, বান্দা তখন খুশির উচ্ছ্বল জোয়ারে ভাসতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে সে বৈধ উপভোগে মত্ত হয়ে ওঠে। মহান আল্লাহ এমন উপভোগের স্বতঃস্ফূর্ত অনুমতি দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ‘হে বানী আদম! প্রত্যেক সলাতের সময় তোমরা সুন্দর পোশাক গ্রহণ করো, আর খাও এবং পান কর, কিন্তু অপচয় কর না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না’। আমরা ঈদ পালন করতে গিয়ে অশ্লীলতা-বেহাপনা ও অন্যায় কাজে লিপ্ত না হই।

নাবী যখন মক্কা হতে মদীনায় হিজরত করেন, তখন মদীনাবাসী নতুন মুসলমানদেরকে জাহেলী যুগের ঈদ-উৎসবের দিনে আনন্দ-উৎসব করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন যে, এ দুটি দিনের রহস্য কী? তারা জবাব দিলেন : জাহেলী যুগের ঈদ-উৎসব হিসাবে তারা দিন দুটি উদ্যাপন করছেন। মুসলমানেরা জাহেলী যুগের ঈদ উদ্যাপন করবে, রাসূলুল্লাহ -এটা মেনে নিতে পারলেন না। প্রতিবাদের সুরে বলে ফেললেন, তোমরা একী কাজ করছো, অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে ঐ দু’দিনের পরিবর্তে আরো উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। একটি ঈদুল আয্হা, অপরটি ঈদুল ফিতর। অতএব মুসলমানদের ঈদ উৎসব হবে কেবল মাত্র দু’ঈদের দিনে। (আবূ দাঊদ : ১১৩৪: আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত)

ঈদ উদযাপনের পূর্বে আমাদের আরো একটি বড় ইবাদাত রয়ে গেছে- আর তা হল সাদাকাতুল ফিতর আদায়। ঈদুল ফিতরের নামাযের আগে যে জন্মগ্রহণ করবে তার পক্ষ থেকেও সাদাকাতুল ফিতর বা যাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। এর দু’টি উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি হল সিয়াম সাধনায় হয়ে যাওয়া যে কোন ধরনের ক্ষতির কাফফারা, অপরটি মিসকীনদের আহার দিয়ে ঈদের আনন্দে শরিক করা। আল্লাহ তা‘আলা সঠিক পদ্ধতিতে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তওফিক দান করুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ