পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল পিবিআই চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য জানান।
এর আগে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর পাহাড়তলী পিবিআই কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেছেন পিবিআই কর্মকর্তারা। পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার বাদী হিসেবে তাকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলা যাবে না।
জানা যায়, সোমবার তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শন সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, আমরা যেহেতু মামলা তদন্ত করছি উনি বাদী হিসেবে অগ্রগতি জানতে আমাদের কাছে এসেছেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাবুল আক্তার পিবিআই অফিসে ছিলেন নাকি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন সে বিষয়েও কোন মন্তব্য করতে চাননি সন্তোষ চাকমা।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। ওই সময় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়।
পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। কিছুদিনের মাথায় ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়। এরপর পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন বাবুল আক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।