Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীতে নির্মাণ শ্রমিককে খুন

মো. ওমর ফারুক, ফেনী থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ফেনীতে নিখোঁজের ২৭দিন পর নির্মাণ শ্রমিক ইয়াছিনের বস্তাভর্তি টুকরো করা লাশ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গত রোববার পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্তবর্তী রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় একটি গর্ত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধাকালে উপস্থিত ছিলেন ফেনী পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরীন আক্তারসহ গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি ও বিজিবি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) এনএম নুরুজ্জামান জানান, ইয়াছিনের সহযোগী বন্ধু গ্রেফতার হওয়া রাজমিস্ত্রী মো. সেলিমের দেয়া তথ্যমতে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, ইয়াছিন ও তার বন্ধু সেলিমসহ অন্য সহযোগী বন্ধুদের সাথে মূল্যবান কষ্টিপাথরের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত মনোমালিন্যে চলছিল। একপর্যায়ে গত ১৩ এপ্রিল নিখোঁজের দিন রাতে ফেনী শহরের বনানী পাড়ার একটি বাসায় ইয়াছিনকে সুকৌশলে ডেকে আনেন তার বন্ধু সেলিম, ইমাম, শাহনাজ, মোশারফ ও তার স্ত্রী কসুম। পরে তাকে ওই বাসায় সবাই মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এয়াছিনের লাশ বস্তাবন্দি করে পরশুরামের রাঙ্গামাটিয়া এলাকার ভারতীয় সীমান্তের কাছে সেলিমের বাড়ির পেছনে একটি তাল গাছের নিচে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়। নিহত ইয়াছিন মির্জানগর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া এলাকার হাসান আহমেদের ছেলে।
গতকাল সোমবার ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, কষ্টিপাথর বাগিয়ে নেয়া ও পেশাগত কাজের কর্তৃত্বের জেরে রাজমিস্ত্রী ইয়াছিনকে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মো. ইয়াছিন আহমেদ-এর সাথে পরশুরাম উপজেলার মধ্যম রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. সেলিম-এর বিরোধ চলে আসছিল। দুই মহিলা শাহনাজ ও কসুমের সহযোগিতায় ইয়ার্ছিনকে ডেকে আনেন ফেনী শহরের বনানী পাড়ার একটি বাসায়। সেখানে কষ্টিপাথর ও আর্থিক লেনদেনের বিষয় নিয়ে সেলিম-ইয়াছিনের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে থাকা মোশারফ ও তার স্ত্রী কুসুম, শাহনাজ, ইমাম হোসেন, সেলিমসহ সবাই মিলে ভিকটিমের গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে জিড়ি করার পর বিষয়টির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হয়। তদন্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে আটক করলে ঘটনার জট খুলতে থাকে। তারই তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত ইয়াছিনের ভাই মো. হারুন পরশুরাম মডেল থানায় বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামি সেলিম, ইমাম হোসেন, মোশারফ, কুসুম, শাহনাজ ও জামাল উদ্দিনসহ ৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্মাণ শ্রমিক খুন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ