পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রবিবার (৯ মে) সকালে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর সচিবালয়ে নিজ দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা।
এরআগে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন দিয়ে যান। এরপর আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় দেখা হবে বলে জানানো হলেও সর্বশেষ আবেদনটি নামঞ্জুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যে ধারায় খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেই ধারাতেই তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।সরকার মৃতুদন্ডের আসামিদের মুক্তি দিয়ে দিচ্ছে, দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে।’
ফেইসবুকে এমডি হামিদুল ইসলাম নামে একজন লিখেন, ‘চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার, এখানে রাজনীতি করা সমীচীন নয়।’
বেগম জিয়ার ছবি শেয়ার করে নীরা হক লিখেন, ‘বিদেশে যেতে দেয়া হোক বা না হোক। আল্লাহ চাইলে তিনি দেশেই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন, ইনশা আল্লাহ। ’
‘একটু মানবিক হতেই পারতেন মাননীয় সরকার’ - মাসুদ রানা নকীবের মন্তব্য।
এমডি আসলাম হোসাইন লিখেন, ‘নির্বাহী ক্ষমতায় অসম্ভব কিছু না।’
নুরুল আলমের প্রশ্ন, ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শের পরেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে যেতে দেয়া হলো না। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কি অবিচার করা হচ্ছে?’
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ মে সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।