বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নির্মান কাজ শুরুর প্রায় দেড় যুগ পর অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বগুড়ার সান্তাহার বাসির দীর্ঘিদিনের দাবির ফসল শহরের ২০ শয্যা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হাসপাতালটি হস্থান্তর করেছে। হাসপাতালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রয়োজনীয় লোকবল, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্রের অভাবে এটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে সান্তাহার পৌরসভা শহরসহ এর আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালটি চালু হলে বদলে যাবে এলাকার চিকিৎসা সেবা। জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩০ মে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ব্যয়ে সান্তাহার শহরের রথবাড়ি এলাকায় হাসপাতালটি নির্মানের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। হাসপাতালের নির্মান কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবার কারনে ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর তৎকালিন সরকারের আমলেএটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সে সময়ে চিকিৎসক সহ হাসাপাতালের অন্যান্য দফরের লোকবল নিয়োগ দেওয়া ও হয়। একই সাথে হাসপাতালে চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। সর্বশেষ ২০০৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর এটি স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন পায়। বর্তমানে সান্তাহার হাসপাতালের জন্য পাঠানো চিকিৎসা সরঞ্জাম আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গেছে। ২০২০ সালের শেষে হাসপাতালের অসমাপ্ত কাজের পুনরায় দরপত্র আহবান করে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রায় তিন কোটি টাকার চুক্ত মূল্যে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঠিকাদার ফারুক হোসেন জানান, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে স্থান্তর করা হয়েছে।
এদের মধ্যে চিকিৎসক ছয় জন, সিনিয়র ষ্টার্ফ নার্স পাঁচ জন, ফার্মাসিস্ট এক জন মেডিক্যাল টেকনেশিয়ান একজন সহ সর্বমোট জনবল সংখ্যা ২৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচজন নার্সসহ আটজন নিয়োগ প্রাপ্ত রয়েছেন। এই আটজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে কর্মরত রয়েছেন।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল চালুর জন্য সমস্ত জনবল, সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রয়োজন। বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গওসুল আজম চৌধুরি বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য জনবল এবং অপারেশন থিয়েটারের সামগ্রী ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী’র চাহিদা পত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়েছে। এসব পাওয়া গেলে হাসপাতালটি চালু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।