গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্ট বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে ৩দিনব্যাপী নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে যানযট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা ও করোনা সচেতনতায় মাইকিং, ৩টি প্রথম সারির হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ও নার্সদের ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান, স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ অভিযান এবং রাজধানীর ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে রান্নাকরা খাবার বিতরণ। এই সকল কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে রেড ক্রিসেন্ট জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্টের এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্ট জানায়, পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ঢাকার রাস্তায় যানযট নিরসনে রাজধানীর ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্টে (মগবাজার চৌরাস্তার মোড়, সোনারগাঁও মোড়, আসাদগেট, মতিঝিল শাপলা চত্বর, গুলশান-১ ও শাহবাগ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশদের সহায়তা এবং করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম করছে যুব ও স্বেচ্ছাসেবকরা। গত ০৭ মে থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদিন রাজধানীর এই ৬টি স্পটে ট্রাফিক আইন মানা ও পথচারীদের পারাপারে জনসাধারণ ও ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করছে। এছাড়াও পথচারীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিংসহ প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে যুব ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
অপরদিকে, জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় নাক-কান-গলা ইন্সটিটিউট ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে কর্মরত প্রায় ৫০০ জন ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
আজ ০৯ মে রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সদর দপ্তর যুব ও স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার ওয়ারীতে স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গতকাল শনিবার মগবাজার এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। আগামী ১০ মে তারিখে উত্তরা ও বনানী এলাকায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে যুব সদস্যরা জানিয়েছেন।
এছাড়াও করোনা ও চলমান লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানী ঢাকার দরিদ্র, ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে প্রতিদিন ১০০০ হাজার প্যাকেট রান্নাকরা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ইফতারের আগ মূহূর্তে অসহায় এসব মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট পৌছে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা।
জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্টের এর যুব প্রধান তাজনূর আহম্মদ সেঁওতি জানান, বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয় সদর দপ্তর যুব রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামীতেও এই মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।