বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলতি ভরা বোরো মওশুমে নারী শ্রমিকরাই চালিকা শক্তিতে পরিণত হয়ে রক্ষা করছে বগুড়া তথা উত্তরের কৃষি সেক্টর। নিবিড় অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত দু’দশক ধরে কৃষি সেক্টরে সৃষ্টি হয়েছে মজুরের সঙ্কট। সঙ্কটের কারণে মজুরিও বেড়েছে অনেক। বাড়তে বাড়তে এবছর বোরো মওশুমে ধানকাটা শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকা। শুধু ৭০০ টাকাই নয় এর সাথে ২ বেলা খাওয়াতে হবে। শুধু খাওয়ালেই হবে না খাওয়ার আইটেম গুলোও হতে হবে মজুরদের পছন্দের ভিত্তিতে।
এই বাস্তবতায় পুরুষ মজুরদের বিভিন্নমুখী চাহিদার প্রেক্ষিতে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ। মূলত এব ছর জমির ধান কাটা থেকে শুরু করে ঝাড়াই মাড়াই থেকে শুর করে ধান সেদ্ধ শুকনো পর্যন্ত সবকিছুই করছে নারী শ্রমিকরা। ভুক্তভোগী ধানচাষীরা জানিয়েছেন, এবার নারী শ্রমিকরা এগিয়ে না এলে ক্ষেতের ধান হয়তো ক্ষেতেই শুকিয়ে অথবা বৃষ্টিতে পচে নষ্ট হয়ে যেত। তবে নারী শ্রমিকদের অভিযোগ তারা কিন্তু শ্রমের মজুরি ঠিকঠাক পাচ্ছেন না, তাদের ভাষায় ঠকানো হচ্ছে তাদের।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চর বোহাইলের নারী শ্রমিক জামিলা জানালো, আগোত অমপুরা কামলারা আসিচ্চিলো, অরা ধান ওয়া, নিড়ানি, কাটা মাড়াই কর্যা ১৫দিন ১ মাস থ্যাক্যা চল্যা যাচ্ছিলো। অরা না আসায় হামরই কাজোত ন্যামা পড়ি। কিন্তুক হামরা কলে ল্যায্য মজুরি পাইন্যা। হামাকেরে ঠকান হয়। সগলি হামাকেরে খালি ঠকাবারই চায় ।’
এ বিষয়ে কয়েকজন ধানচাষির সাথে কথা বলে জানা গেল, ধানের জন্য বিখ্যাত বগুড়া, নওগাঁ ও দিনাজপুর অঞ্চলের লোকেরা এক সময় পুরোটাই ছিল রংপুর ও গাইবান্ধা থেকে আগতধান কাটা শ্রমিকদের ওপর। কিন্তু মঙ্গা পরিস্থিতির অবসানের প্রেক্ষিতে এখন আর ওই এলাকার শ্রমিকরা আসতে চায়না । আসলেও কাজে ফাঁকি দেয় উচ্চ মজুরির পাশাপাশি বিভিন্ন দাবি দাওয়া দিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। সেকারণেই এখন বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের সময়টাই নিজ নিজ জেলা শহরের রিক্সাওয়ালারা সহ অন্য অনেক শ্রেণী পেশার মানুষ গ্রামে ফিরে গিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ করে থাকে।
এছাড়া বহু দিন থেকেই সাঁওতালসহ উপজাতি শ্রেণির মেয়েরা দিনাজপুর, নওগাঁ অঞ্চলের কৃষি সেক্টরে কাজ করে থাকে। বিদ্যমান পরিস্থিতির কারনে ইদানিং উত্তরের সব জেলাতেই বাঙালী মেয়েরাও নেমে পড়েছে কৃষি সেক্টরে । বিশেষ করে ধান রোপন, কাটামাড়াই, ঝাড়াইয়ের মতো কাজে।
বগুড়ার হিউম্যান রাইট এক্টিভিস্ট ও সুপ্র’এর বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক কে জি ফারুকের মতে, কৃষি সেক্টরে নারী শ্রমিকদের অংশ গ্রহনতো সময়ের দাবি। তবে এক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন হতে হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।