Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যানে জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন

৭ মাস পর গ্রেফতার খুনি চক্রের ২ জন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় একটি কাভার্ড ভ্যান। কাভার্ড ভানের কেবিনে ছিলো রক্তের দাগ। ওই রক্তের উৎস খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যায় চালক ও সহকারীর লাশ। নগরীর হালিশহর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় মিলে চালক রিয়াদ হোসেন সাগরের লাশ। সেখান থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে পাওয়া যায় চালকের সহকারী মোহাম্মদ আলীর লাশ।

গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে সংগঠিত ওই ভয়ঙ্কর জোড়া খুনের সাত মাস পর ধরা পড়লো খুনি চক্রের দুই সদস্য। শুক্রবার রাতে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তারা খুনের দায় স্বীকার করে। দুর্ধর্ষ কায়দায় চলন্ত গাড়িতে চালক সহকারকে নির্মমভাবে খুনের বর্ণনাও দেয় তারা।

পুলিশ বলছে গ্রেফতার মো. মিরাজ হাওলাদার (৩০) ও আবু সুফিয়ান সুজন (২১) ছাড়াও খুনসহ দস্যুতার এই ঘটনায় অংশ নেয় বাবু নামে আরো একজন। তারা চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীক মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের বদলি চালক। তবে এই পেশার আড়ালে তারা মূলত মহাসড়কে ডাকাতি ও দস্যুতায় জড়িত ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্রের সদস্য।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৩ অক্টোবর নগরীর বড়পুলে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কাভার্ড ভ্যান (চট্ট মেট্রো-ট-১১-৮৮১২) উদ্ধার করা হয়। সেটি আগের রাতে এসিআই কোম্পানির মেশিনারিজ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গ্রেফতার দুজনের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কাভার্ড ভ্যানটি মহাসড়কে উঠতেই ওই তিনজন যাত্রী বেশে তাতে উঠে পড়ে। পরে চালক ও সহাকারীকে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিজেরা নিয়ে নেয়। প্রথমে সহকারী মোহাম্মদ আলীর লাশ তারা মহাসড়কে ফেলে দেয়। কাভার্ড ভানের সীট থেকে লাশ রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা হয়। এর পর কাভার্ড ভ্যানটি নগরীতে নিয়ে আসার পথে হালিশহর থানার বেড়িবাঁধ এলাকার ডোবায় চালকের লাশ ছুঁড়ে ফেলা হয়। পরে মালামাল লুট করে কাভার্ড ভ্যানটি বড়পুল এলাকায় ফেলে যায় তারা।

ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুক উল হক বলেন, দুটি লাশের সন্ধান পেলেও এতোদিন খুনের রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। দীর্ঘ ৭ মাস ধরে অনুসন্ধান, গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ওই দুজন খুনের বর্ণনাও দিয়েছে। ঘটনার সময় তারা তিনজন ছিলো। মিরাজ, সুজন, বাবু নামে এই তিনজনই বন্দরের মালামাল পরিবহনের কাজে নিয়োজিত পরিবহনের অস্থায়ী চালক। বাবুকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। ওই দুই জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তখন হালিশহর ও জোরারগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাভার্ড ভ্যান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ