Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইতেকাফরত আলেমকে গ্রেফতার চরম পর্যায়ের বাড়াবাড়ি- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২১, ৬:৩৮ পিএম | আপডেট : ৮:২২ পিএম, ৮ মে, ২০২১

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মসজিদে ইতেকাফরত অবস্থায় হেফাজত নেতা ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরির গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রত্যেক নিরপরাধ মানুষের গ্রেফতার এবং হয়রানিই নিন্দনীয়; কিন্তু কিছু বিষয় ধর্মপ্রাণ মানুষের অন্তরে চরম আঘাত করে। একজন মানুষ যখন পবিত্র মসজিদে ইতেকাফে বসেন, তখন তিনি একমাত্র আল্লাহর ধ্যান খেয়াল ছাড়া দুনিয়ার সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। তিনি তখন আল্লাহর ঘরে আল্লাহর মেহমান হয়ে যান। এ অবস্থায় একজন মানুষকে গ্রেফতার করাটা চরম পর্যায়ের বাড়াবাড়ি। তাঁকে যদি গ্রেফতার করাটা এতোই প্রয়োজন হতো, তাহলে তিনিতো পালিয়ে যাননি। প্রশাসন কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে পারতো। শাওয়ালের চাঁদ উঠলে গ্রেফতার করতে পারতো। প্রয়োজনে তাঁকে কয়েকটা দিন মসজিদেই নজরদারীতে রাখা যেত। এঘটনার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের একটি অংশ যে আলেমদের প্রতি এবং ইসলামপন্থী নেতাদের প্রতি কতোটা নির্মম মূর্তি ধারণ করেছে, তারই বহি:প্রকাশ ঘটলো। সারা দেশে চলমান গ্রেফতার অভিযানে এমনও কিছু নিরীহ আলেম গ্রেফতার হচ্ছেন, যাদের হেফাজতের সঙ্গেও কোন সম্পৃক্ততা নেই এমন কি অন্য কোন ইসলামী দলের সঙ্গেও কোন সম্পৃক্ততা নেই। জানা অজানা সারাদেশে এমন অনেকেই আছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মোমেনশাহীতে আমার একজন ক্লাসমেট গ্রেফতার হয়েছেন; মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম। মোমেনশাহী নিউ মার্কেট মসজিদের খতিব এবং কয়েকটা মাদরাসার শায়খুল হাদিস। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। খুবই মেধাবী এবং বুজুর্গ আলেম। যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় দওরার ক্লাসে তিনি আকর্ষণীয়ভাবে হাদিসের এবারত পড়তেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কারণ তিনি ইত্তিহাদুল ওলামা মোমেনশাহী জেলা সভাপতি। যেটি নিছক আলেমদের একটি আঞ্চলিক সংগঠন। তেমনই সুপরিচিত আলেম আতাউল করীম মাকসুদ ভাইও কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো, তাও বোধগম্য নয়। সারাদেশে চলমান গ্রেফতার অভিযানে ইসলামী আন্দোলনের এ পর্যন্ত ২৭ জন নেতা কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এ নিয়ে আমরা বিচলিত নই। কারণ এদেশের রাজনৈতিক কর্মীদের বিনা অপরাধে চোর ডাকাত আর ক্রিমিনালের মতো কারা ভোগ করতে হয়, এটা এদেশের দূষিত রাজনীতির কালচার।


ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারি মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, সরকারের অপরিণামদর্শী নীতি ও ভারতপ্রীতির কারণে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার করোনা নিয়ে বাণিজ্যিককরণ করার কারণেও এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বাদ জুমা পুরানা পল্টনস্থ নগর কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, আলহাজ নজরুল ইসলাম খোকন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, এমদাদুল ফেরদাউস, হাজী আবু তাহের।


মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, রমজান মাসেও প্রতিদিন আলেমদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে সরকার। বিভিন্ন মাদরাসায় তল্লাশীর নামেও নিরীহ ছাত্র ও শিক্ষকদের ভীতি সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় সরকারকে গ্রেফতারী অভিযান বন্ধ রেখে আলেমদের এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ