প্রাকৃতিক দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে পল্লী বিদ্যুতের দীর্ঘ সময় লোডসেডিংয়ের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লষ্টি কর্তৃপক্ষ ঝড় বৃষ্টি হলেই বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখে। এতে ভোগান্তিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষকরে ঝড় বৃষ্টির মৌসূমে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িক বন্ধ রাখেন এবং কোন প্রকার দূর্ঘটনার খবর পাওয়া না গেলে বিদ্যুতের সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়। কিন্তু উপজেলার রাজানগর, শেখরনগর, কেয়াইন ও চিত্রকোট ইউনিয়নের চিত্র পুরটাই এর ব্যতিক্রম। ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে অন্য ইউনিয়ন গুলোতে বৃষ্টি থেমে যাওয়ার প্রায় আধা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে সংযোগ দেওয়া হলেও রাজানগর, শেখরনগর, কেয়াইন ও চিত্রকোট ইউনিয়নে দুই থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখে বলে স্থানীরা অভিযোগ তোলেন পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। তারা বলেন বিদ্যুতের সমস্যার কথা জানার জন্য ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেনা। ঝড় বৃষ্টি ছাড়াও নতুন সংযোগের দোহাই দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখে। তবে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। ইউনিয়নগুলোতে নতুন লাইন থেকে বিদ্যুৎ লাইন থেকে সংযোগ দেওয়ায় সামান্য ত্রুটি দেখা দেওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। বর্তমানে সেসব এলাকায় বিদ্যুতের কোন সমস্যা নেই বলেও জানান নিমতলা সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুত না থাকার কারণে ফ্রিজে থাকা মাছ, মাসং এবং কাচা তরকারী পচে যায়। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারছেনা। লোডসেডিংয়ের চরম এ ভোগান্তি থেকে বাচতে পল্লী বিদ্যূতের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষপে কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রাজানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা এসএ মাসুম বলেন,গত কয়েকদিন যাবত আমাদের এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস তরিতরকারী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রাতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি চার্জ দিতে পারছিনা। সমস্যা জানার জন্য অফিসে ফোন দিলেও ফোন ধরছেনা করেনা। একটু বৃষ্টি আসলেই বিদ্যুৎ দীর্ঘ সময়ের জন্য চলে যায়। আমরা বিদ্যুৎ নেই কেন জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন বাহানা দেখায়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমি একটি পোষ্ট দিলে অনেকে এর প্রতিক্রিয়া জানান। আমরা এর সমাধান চাই।
শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ঝড়-বৃষ্টি আসলেই আমাদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। ৩ দিন আগে সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না। সামান্য বৃষ্টিতেও বিদ্যুৎ চলে যায় এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।
এব্যাপারে নিমতলা সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিজয় কুন্ডু জানান, দশ দিন হয়েছে সেখানকার লাইন চালু করা হয়েছে। এমনিতে আমাদের কোন লোডশেডিং নেই। আমার জানা মতে ঝড়ের সময় কয়েকদিন সমস্যা হয়েছিলো। বর্তমানে বিদ্যুতের কোন সমস্যা নেই।