পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনা মহামারির শুরুতে শ্রমিকের বেতন বাবদ প্রণোদনা নিয়েও ২৫ শতাংশ পোশাক কারখানা কর্মী ছাঁটাই করেছে। ওই সময়ে এই খাতের চাকরি হারানো কর্মীদের ২১ শতাংশ এখনো তাদের পাওনা বুঝে পাননি।
শনিবার (৮ মে) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও সজাগ কোয়ালিশনের আয়োজনে পোশাক খাতে সুশাসন নিয়ে সংলাপে এই তথ্য দেয়া হয়।
সংলাপে বলা হয়, করোনাকালে কারখানায় কাজের চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে। সে সাথে হয়রানিও বেড়েছে অনেক। শ্রম অধিকার শিথিল করায় কারখানা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়ছে। অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষের অন্যায্য আচরণের বিরুদ্ধে কথাও বলতে পারেন না প্রায় ৭০ শতাংশ শ্রমিক। চাকরি হারানো কিছু শ্রমিক আবার কাজ ফিরে পেলেও তাদের বেশির ভাগেরই বেতন আগের চেয়ে কম। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, শ্রমিক ইউনিয়েনে যুক্ত হওয়ায় বহু শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে সংলাপে ছাঁটাই কর্মীদের পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিক শ্রেণির যা পাওনা তা যেন আমরা দেই। আমরা সবাই মিলে যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারি। একটা কাজ করা দরকার, আন্তর্জাতিকভাবে যে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে আমাদের মূল্য নিয়ে সেটা নিয়ে কাজ করা দরকার। বছর দুয়েক আগে যে প্রোডাক্টে আমরা ১৫ ডলার পেতাম, এখন তা ১১-১২ ডলারে নেমে গেছে। এ অবস্থায় টিকে থাকাটা কঠিন। এই কথা শুনে মনে হবে এটা মালিকপক্ষের কথা কিন্তু এটাই রিয়েলিটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।