বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে সড়ক ও নৌপথে গনপরিবহন বন্ধের মধ্যে রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে আকাশ পথই একমাত্র মাধ্যম হলেও আকাশচুম্বি ভাড়ায়ও ঈদের আগে-পড়ের সব টিকেট বিক্রী শেষ হয়ে গেছে আরো ৫ দিন আগে। কিন্তু এ বিপুল চাহিদার মধ্যেও নানা বিধিনিষেধে বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে না পারলেও রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি ঈদের পরদিন থেকে নিয়মিত দৈনিক ফ্লাইট সপ্তাহে ৩ দিনে হ্রাস করছে। ফলে মানুষের দূর্ভোগ আরো বৃদ্ধির সাথে বেসরকারী এয়ারলাইন্স গুলোর বাড়তি ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্র আরো মজবুত হয়েছে বলেও মনে করছেন যাত্রী সাধারন। ঢাকাÑবরিশাল রুটে গত বুধবার থেকে বেসরকারী এয়রলাইন্স-এর একটি টিকেট ৯ হাজার টাকায়ও বিক্রী হয়েছে। অথচ বরিশাল সেক্টরে নিয়মিত ভাড়া ৩২শ থেকে ৩ হাজার ৪শ টাকা।
করোনা মহামারি প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে সড়ক ও নৌপথে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধের মধ্যে গত ২২ এপ্রিল থেকে সরকার সিমিত পরিসরে আকাশ পরিবহন চালুর অনুমোদন দেয়। সে নিরিখে বেসরকারী নভো এয়ার ও ইউএস-বাংলা বরিশাল সেক্টরে প্রতিদিন ১টি করে ফ্লাইট চালু করে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি ২৩ এপ্রিল থেকে বেশ কয়েকবার সময়সূচি পরিবর্তন করে সকালের দিকে ১টি ফ্লাইট পরিচালন করলেও ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকেলে দুটি ফ্লাইট পরিচালনের ঘোষনা দিয়েছে। এমনকি গত বৃহস্পতিবার থেকে সেরকারী দুি এয়রলান্সি বরিশঅল সেক্টরে দৈনিক দুট করে ফ্লাইট চালু করলেও ৩৪শ টাকার টিকেট বিক্রী হচ্ছে ৯ হাজার টাকায়ই।
কিন্তু ঈদের পরদিন থেকেই রাষ্টীয় বিমান সংস্থাটি বরিশাল সেক্টরে দৈনিক ফ্লাইট আবার সপ্তাহে ৩দিনে হ্রাস করেছে বলে জানা গেছে। ফলে এ সেক্টরে যাত্রী দূর্ভোগ বৃদ্ধির সাথে ভাড়া নিয়েও সব ধরনের ভারসাম্যতা বিনষ্ট হচ্ছে বরে অভিযোগ যাত্রীদের। বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো গত বুধবার থেকেই মাত্র ৬৮ এ্যারোনটিক্যাল মাইলের ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে যেমনি ৯ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছে, তেমনি ঈদের পরেও ৫ হাজার ৭শ থেকে ৯ হাজার টাকায়ও টিকেট বিক্রী করেছে। তবে এ বাড়তি ভাড়ায়ও ঈদের পরে টিকেট বিক্রী শেষ হয়ে গেছে।
অথচ করোনা সংকটের আগে ঢাকা-ব্যংককÑঢাকা রুটের প্রায় সাড়ে ১৬শ এ্যরোনটিক্যাল মাইলে থাইল্যন্ডের একটি বেসরকারী এয়ারলাইন্স মাত্র ১২ হাজার ৫শ ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করেছে। এমনকি ঈদের পরে সরকারী উড়ান সপ্তাহে ৩দিনে সিমিত করায় বেসরকারী এয়ারলইন্সগুলো ভাড়া বৃদ্ধির বাড়তি সুযোগ নিচ্ছে বলেও অভিযোগ সাধারন যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ-এর বরিশাল সেলস অফিসের জেলা ব্যবস্থাপক কোন মন্তব্য করতে অস্বিকৃতি জানিয়ে ফ্লাইটি সময়সূচী হেড অফিস থেকে নির্ধরিত হয় বলে জানান। ইউএস-বাংলার বরিশাল সেলস অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, করোনা সংকটের আগে বরিশাল সেক্টরে আমাদের দুটি ফ্লাইট থাকলেও ২২ এপ্রিল থেকে ১টি ফ্লাইট চলছিল। যাত্রী চাহিদার নিরিখে বেবিচকের অনুমোদন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় দুটি ফ্লাইট চালু হয়েছে। বাড়তি ভাড়ার প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য না করলেও যাত্রী চাহিদার নিরিখে ভাড়া নির্ধরিত হয় বলে জানান তিনি। নভো এয়ার-এর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ঈদর পরের এক সপ্তাহের টিকেট বিক্রী প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বাড়তি ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি জনান, যাত্রী বৃদ্ধির সাথে ভাড়া বৃদ্ধির নিয়ম বিশ^ব্যপী স্বিকৃত।
তবে এ প্রসঙ্গে বরিশালে বিমান, ইউএস-বাংলা এবং নভো এয়ার অফিসের সামনে একাধীক যাত্রী ‘রাষ্ট্রীয় বিমান’কে আগের মতই যাত্রী বান্ধব সময়সূচী অনুযায়ী নিয়মিত ফ্লাইট পরিচলন’এর দাবী জানান। বিমান বার বার সময়সূচী পরিবর্তন করায় যাত্রীরা বিভ্রান্তি ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে জানিয়ে বেসরকারী এয়ারলাইন্সকে বড়তি সুযোগ দেয়ার জন্যই বিমান-এর একটি মহল কাজ করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কতৃপক্ষ-বেবিচক’কে দুরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রনেরও দাবী জানান যাত্রীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।