Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাবি ভিসির শেষদিনের বিশাল নিয়োগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২১, ৮:২৯ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি এম আবদুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূতভাবে বিশাল নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শেষ মুহূর্তে তোড়জোড় করে এই নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ফেসবুকে অনেকেই এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

 

এদিকে, রাবি ভিসির শেষ কর্মদিবসের নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ১২টায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য এবং নানা অনিয়ম নিয়ে ছাত্রলীগ ও শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল বলে জানা যায়।

 

গত ৫ মে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) বিশাল জনবল নিয়োগ দেন ভিসি। এনিয়ে উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ প্রটোকলে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাস ছাড়েন ভিসি এম আবদুস সোবহান।

 

এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এম আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ দিয়েছে। এই অবৈধ জনবল নিয়োগের বৈধতার সুযোগ নেই। এ জন্য এই অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।

 

ভিসির নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে এফ. আই. ফাহাদ লিখেছে, ‘‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দেখলাম না সততার সাথে কাজ করে। একদিন না একদিন এদের কালো মুখোশ বের হয়ে যায়। এখন বুঝেন, এ দেশের শিক্ষার মান কেন এতো নিম্নে। এদের দ্বারা জাতি ভালো কিছু আশা করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।’’

 

আহসান আতিকের মন্তব্য, ‘‘এ সরকারের আমলে নিয়োগকৃত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উপাচার্যরা একজনও ঠিকঠাক বিদায় নিতে পারলো না।সব দূর্নীতিবাজ গুলোকে উপাচার্য করার জন্যই আজ এই অবস্থা।’’

 

ক্ষোভ জানিয়ে দ্বীপ্ত চ্যাটার্জি লিখেছেন, ‘‘একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা হত ঢাবি-জাবির সাথে। এখন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সমান লেভেলে নেমে যাচ্ছে। যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হল ১০ বছর পরে ক্যাম্পাসে ছাত্ররা শিক্ষকের কাছে ধর্ষণ শিখবে।’’

 

ইসলাম জহির লিখেছেন, ‘‘এইসব শিক্ষক শুধু শিক্ষিত হতে পেরেছে।কিন্তু মানুষ হতে পারে নি। লোভ লালসার কাছে নিজের নীতি বিক্রিত হওয়া একজন মানুষ। শেষ দিন নিয়োগ দিলো কেন!!!!!! আর ছাত্রলীগ ওখানে কারণ ভাগবাটোয়ারায় অমিল হয়েছে!!!!! এই ঘটনার মূল উৎস দুর্নীতি!!’’

 

নাহিদ হাসানের মন্তব্য, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের লজ্জা শরম থাকতে নেই! ওসব বিসর্জন দিয়া দুই টার্ম ভিসিগিরি কইরা বীরদর্পে আজ পুলিশ প্রহরায় ক্যাম্পাস ছাড়ছি! বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন সব টেসে দিয়েছি। তোরা চিল্লাইতে থাক, এবার আমি মক্কা যামু!!’’

 

সাংবাদিক জাহিদ হাসান লিখেছেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যের অবস্থা এতটা করুণ হয়েছে যে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেওয়ার সময়ও পুলিশ প্রোকেটশন লাগে। তাবেদার এবং মোসাহেবীর মাত্রা যখন চরম সীমা লঙ্ঘন করে তখন নিজের মধ্যে ব্যক্তিত্ব বলতে কিছু থাকে না।  আজকে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা-সম্মান প্রত্যাশা করেন। কিন্তু জনৈক শিক্ষকরা কি তাদের সেই মর্যাদা-সম্মানের জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে।’’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ