মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সীমানা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। সেই ঝামেলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধেও গড়িয়েছে। ইতিহাসের পাতায় রয়েছে এমন অনেক উদাহরণ। শুধু ইতিহাস কেন, বর্তমানেও সীমানা নিয়ে বহু দেশের মধ্যেই সম্পর্ক তিক্ত।
কিন্তু জানেন কী, ফ্রান্সের মতো শক্তিধর দেশের সীমানা একাই কমিয়ে দিলেন বেলজিয়ামের এক নাগরিক! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আজব এই ঘটনাটি যিনি ঘটিয়েছেন তিনি আসলে পেশায় একজন কৃষক।
ইউরোপের কিছু কিছু দেশের সীমানায় তেমনভাবে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কিছু কিছু জায়গায় সীমানা বোঝাতে কেবলমাত্র পাথরের ফলক ব্যবহার করা রয়েছে। আর ওই কৃষক ভুল করে ফ্রান্স-বেলজিয়ামের সেরকমই একটি পাথর তুলে কিছুটা এগিয়ে পুঁতে দেন।
কৃষকের এমন কাজের ফলে ২.২৯ মিটার বা সাড়ে সাত ফুট কমে যায় ফ্রান্সের সীমানা। অপরদিকে বেড়ে যায় প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামের এলাকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্থানীয় এক ইতিহাসবিদ ভুলটি ধরে ফেলেন। তারপরই সামনে আসে বিষয়টি।
আসলে, ফ্রান্স এবং বর্তমানে বেলজিয়ামের সীমানা ৬২০ কিলোমিটার (৩৯০ মাইল) দীর্ঘ। ওয়াটারলু যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয়ের পরে ১৮২০ সালে স্বাক্ষরিত কর্টরিজকের চুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সীমান্তটি।
পাথরটির গায়ের খোদাই অনুযায়ী এটি ১৮১৯ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কৃষক বিষয়টি জানতেন না। ফলে জমি চাষের সময় ট্রাক্টরের সামনে পাথরটি চলে আসায় তিনি বিরক্ত হয়ে পড়েন। শেষে পাথরের ফলকটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে তুলে ফ্রান্সের সীমানা থেকে কিছুটা এগিয়ে পুঁতে দিয়েছিলেন।
এই বিষয়টি কেউই জানতেও পারেননি। শেষে একজন ইতিহাসবিদ বনের রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় লক্ষ্য করেন সীমানা চিহ্নিত করার পাথরটি সরে গেছে। তিনিই সেটি প্রশাসনের নজরেও আনেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে অবশ্য আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও হইচই হয়নি। বরং বেলজিয়ামের এরকুইলিনস গ্রামের মেয়র ডেভিড ল্যাভক্স থেকে শুরু করে ফ্রান্সেরও অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মজা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খবরটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, হাফপোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।