দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
মহান রাব্বুল আলামীন মানব জাতিকে অফুরন্ত নেয়ামত দান করেছেন, তাদেরকে সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি আমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাত হওয়ার গৌরব দান করেন। আর শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (সা.) এর খাতিরে তাঁর উম্মাতদের অনেক বৈশিষ্ট্য এবং মর্যাদা দান করেন, লাইলাতুল কদর তার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। তাই প্রত্যেক মু’মিনের উচিত এ রজনীর গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ করত: তা যথাযথভাবে পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট হওয়া। আল্লাহ তা’আলা বলেন:“লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ”(সূরা কদর: ৩)। রাসূল (সা.) এর ভাষায়:“যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদর পালন করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়” (সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম)। এ বরকতময় ও মহিমান্বিত রাতের ফজিলত এবং করণীয় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো:
ক. লাইলাতুল কদরের পরিচয়:
লাইলুন শব্দটি আরবি, যার অর্থ: রাত, রাত্র, রাত্রি, নিশি বা রজনী। আর কদর অর্থ: মহিমান্বিত, সম্মানিত, মর্যাদাবান, পুণ্যময়, মূল্য, ভাগ্য, তাকদীর, নিয়্যতি,অদৃষ্ট,পরিমাণ, ইত্যাদি। অতএব লাইলাতুল কদর অর্থ: মহিমাান্বিত রজনী, পুণ্যময় রজনী, ভাগ্য রজনী, মর্যাদাবান রাত, ইত্যাদি।
পরিভাষায়: লাইলাতুল কদর এমন বরকতময় ও মর্যাদাবান রাত, যা রমাদানের শেষ দশকে অবস্থিত, যাতে কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ হয়েছে এবং যে রাতের ইবাদত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম ।
খ. লাইলাতুল কদরের অবস্থান:
চার মাজহাবের উলামাগণ ঐক্যমত যে, মহিমান্বিত এ রাত রমজান মাসেই বিদ্যমান। কেননা আল্লাহ তা’আলার ভাষায়:“এ কুরআন আমি কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি”(সূরা ক্বদর:১)। অন্যত্র তিনি বলেন:“রমাদান এমন মাস যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে”(সূরা আল-বাকারা:১৮৫)। অতএব, সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত হয় যে, ইহা রমজান মাসেই অবস্থিত। তবে রমাদান মাসের কোন রজনীতে এটি বিদ্যমান সে বিষয়ে আলেমগণের মাঝে একাধিক মত পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য ক’টি মত নিম্নরূপ-
১. জমহুর আলেমগণের মতে:
লাইলাতুল কদর রমাদানের শেষ দশকে অবস্থিত, তবে তাঁরা ২৭ রমাদানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন-উবাই ইবন কা’ব (রা.) লাইলাতুল কদর বিষয়ে বলেন:“আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি উহা সম্পর্কে অধিক জানি, যে রাত্রি পালনের জন্য রাসূল (সা.) আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন তা (রমাদানের) ২৭তম রজনী” (সহীহ মুসলিম)।
২. ইবন হাজার আসকালানী, মাওয়ারেদী ও ইমাম নববী (রহ.) এর মতে:
ইহা রমাদানের শেষ দশকে বিদ্যমান, তবে প্রতি বছর একই রাত্রিতে নয়; বরং বিভিন্ন রাতে হয়ে থাকে।
৩. একদল আলেমের মতে: ইহা রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিসম‚হে বিদ্যমান। উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:“তোমরা রমাদানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো”(সহীহুল বুখারী)। অনুরূপভাবে-হযরত আবু সা’ঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন, অতপর তিনি বলেন:“আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছিল, কিন্তু আমি তা ভুলে গিয়েছি/ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে, তবে তোমরা তা রমাদানের শেষ দশকের প্রত্যেক বিজোড় রাত্রিতে তালাশ করো”(মুত্তাফাকুন আলাইহি)।
উপরোক্ত প্রমাণাদির প্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হয় যে, লাইলাতুল কদর রমাদানের শেষ দশকে বিদ্যমান, আরো একটু সহজ করলে শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিসমূহে অবস্থিত। যদিও ২৭তম রাত্রিতে হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি; কিন্তু শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিসমূহ তথা ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯তম রজনীতে তালাশ করাই অধিক নিরাপদ বলে মনে করি।
গ. লাইলাতুল কদর গোপন রাখার হেকমত:
‘হাকেমের কোন কাজই হেকমত হতে মুক্ত নয়’। কেননা রাস‚ল (সা.) সুনির্দিষ্টভাবেই জানতেন ইহা কোন রজনীতে। কিন্তু রাব্বুল আলামীন তাঁর স্মৃতি থেকে তখন তা ভুলিয়ে সাহাবায়ে কিরামদের তা নির্দিষ্ট করে বলা হতে বিরত রাখেন। যেমন- হাদীসের ভাষায়: উবাদাতা ইবন ছামিত (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি রাস‚ল (সা.) হতে বর্ণনা করে বলেন:“নবী (সা.) আমাদেরকে লাইলাতুল কদরের সংবাদ দেয়ার উদ্দেশ্যে বের হলেন; কিন্তু সাহাবীদের মধ্যে দু’জন পরস্পর জোরে শব্দ করছিলেন। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল কদরের খবর দেয়ার জন্যে বের হয়েছিলাম, কিন্তু অমুক ও অমুকে শোরগোল করছিল, অত:পর আমার স্মৃতি হতে তা সরিয়ে নেয়া হলো। আশা করি এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর”(সহীহুল বুখারী)।
লাইলাতুল কদর কোন রজনীতে তা স্পষ্ট না করে গোপন রাখার অন্যতম ক’টি হেকমত-
- মানব জাতি এ রাত্রির গুরুত্ব অনুধাবন করত: তা যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট হবে;
- এ মহিমান্বিত রজনী তালাশে রোজাদারগণ যেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে;
- এ সৌভাগ্য রজনী পাবার জন্য একাধিক রাতে ইবাদতে মশগুল হয়ে লাভবান হবে;
- বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে মহান মনীবের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবে;
- সর্বোপরি ধৈর্য ও একাগ্রতার সাথে আল্লাহ তা’আলার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার মাধ্যমে নিজেদেরকে সম্মানিত করার সুবর্ণ সুযোগ লাভ করা, ইত্যাদি।
গ. লাইলাতুল কদরের মর্যাদা:
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও মর্যাদা এত বেশি যার ওপর মহান রাব্বুল আলামীন পরিপূর্ণ একটি সূরা নাযিল করেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন:“নিশ্চয়ই আমি কুরআন মহিমান্বিত রজনীতে অবতীর্ণ করেছি। এ মহিমান্বিত রজনী সম্বন্ধে আপনি কী জানেন? এ মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাঈল অবতীর্ণ হয়, প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, উষার আবির্ভাব পর্যন্ত” সূরা কদর:১-৫)। হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন:“নিশ্চয়ই এ রজনীর সালাত, যাকাত ও সদাকাহ বা দান হাজার মাসের চেয়ে উত্তম”। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:“যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় এ রাত্রি ইবাদতের মাধ্যমে কাটায় আল্লাহ তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন”(সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম)। তাবেয়ী মুজাহিদ (র.) বলেন: ‘এ রাতের ইবাদত,তেলাওয়াত,কিয়াম ও অন্যান্য আমল লাইলাতুল কদর ছাড়া হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম’(ইবনে কাসির খ/১৮, পৃ.২২৩)। অতএব আমরা বলতে পারি, এ রাতের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক অনেক বেশী। যে ব্যক্তি সিয়াম পালনের পাশাপাশি এ রজনীতে কিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত, জিকর, দু’আ, ইস্তেহফারসহ অন্যান্য মাধমে অতিবাহিত করবে সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাসের চেয়েও অধিক সময় ইবাদত করল। তাই এ সেীভাগ্যময় রজনী লাভ করা সকল মু’মিনের ঐকান্তিক কামনা ও বাসনা হওয়া উচিত। এ রাত্রির অসীম গুরুত্ব ও ফলিতের কয়েকটি দিক নিম্নরূপ-
১. এ রজনীতে রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীম নাযিল করেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন:“নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি”(স‚রা কদর: ১)। ২. এটি একটি অতি বরকতময় রজনী। কুরআনের ভাষায়:“নিশ্চয় আমি ইহা (কুরআন) বরকতময় রজনীতে নাযিল করেছি”(স‚রা দুখান: ৩)। ৩. মানুষের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। এ মহিমান্বিত রজনীতে সকল মানুষের ভাগ্য পূনবন্টিত হয়। আল্লাহ তা’আলার ভাষায়:“এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় বন্টিত হয়”(স‚রা দুখান: ৪)। ৪. এ রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তা’আলা বলেন: “কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ” (সূরা কদর: ৩)। ৫. এ রাতে ফেরেশতাগণ রহমত, বরকত, কল্যাণ ও মহান রবের ক্ষমা নিয়ে অবতীর্ণ হন। কুরআনের ভাষায়:“ঐ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাঈল অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে”(সূরা কদর: ৪)। ৬. এ রজনীতে আল্লাহ তা’আলা বিশেষ শান্তি ও ক্ষমা ঘোষনা করেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,“শান্তিই শান্তি, সেই রজনী উষার আবির্ভাব পর্যন্ত”(সূরা কদর: ৫)।
ঘ. লাইলাতুল কদরে করণীয়:
পরম করুণায়ের পক্ষ হতে সাইয়্যেদ‚ল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামীন নবী মুহাম্মদ (সা.) এর খাতিরে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য বিশেষ উপহার এ লাইলাতুল কদর। তাই প্রত্যক মু’মিনের উচিত এ পুণ্যময় ও মহিমান্বিত রজনীর প্রত্যেকটা মুহুর্তকে যথাযথ গুরুত্বেও সাথে কাজে লাগিয়ে মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট হওয়া। নিম্নে উল্লেখযোগ্য ক’টি করণীয় পেশ করছি:
১. এ মর্যাদাবান রজনীকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা; ২. রমাদানের শেষ দশকে এ মহিমান্বিত রজনী তালাশ করা; ৩. ফরজ সালাতসম‚হ জামাতের সাথে আদায় করা; ৪. সালাতুত তারাবীহ, নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকর, তাসবীহ, তাহলীল, দু’আ, দুরুদ, ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত্রি পালন করা; ৫. রবের দরবারে খালেসভাবে তাওবা ও ইস্তেগফার করা; ৬. পিতা-মাতার অনুগত থাকা, তাঁদের সাথে সদাচরন করা ও তাঁদের থেকে দু’আ নেয়া; ৭. পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয় ও সকল মুসলমানের জন্য দু’আ করা; ৮. যাবতীয় হারাম কাজ হতে নিজকে মুক্ত করে নেয়ার ওয়াদা করা; ৯. অন্যের হক নষ্ট করলে, আমানতের খেয়ানত করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হক প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি লাভের চেষ্টা করা; ১০. পরিবারের অন্য সকল সদস্যকে রাত্রি জাগরনের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতে সক্রিয় ভ‚মিকা রাখা; ১১. সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করা; ১২.করোনাভাইরাস নামক মহামারীসহ যাবতীয় আজাব-গজব হতে বাঁচার জন্য মহান মনীবের দরবারে বিশেষভাবে দু’আ ও ইস্তেগফার করা; ১৩. কুরআনুল কারীমের সাথে নিজেদের সম্পর্ক গভীর করা, অধিক অধিক তিলাওয়াত করা, বুঝার চেষ্টা করা এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করা; ১৪. আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল (সা.) এর আদিষ্ট বিষয়গুলোর পরিপূর্ণ প্রতিপালন ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো বর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া; ১৫. কল্যাণ, সফলতা ও মুক্তির লক্ষ্যে বেশি বেশি চেষ্টা করা; ১৬. মহান রবের নিকট বিশেষ রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করা; হাদীসে এসেছে, উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করেন, হে রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর জানতে পারি তাহলে তাতে কী বলব? রাসূল (সা.) তাঁর জবাবে বলেন: ‘তুমি তখন বলবে, ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন’ (তিরমিজি)। ১৭. এ মহিমান্বিত রজনীর অন্বেষণ শুধু ২৭তম রাতে সীমাবদ্ধ না রেখে শেষ দশকের বিজোড় রাতসম‚হে তালাশ করা।
পরিশেষে মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদেরকে এ পুণ্যময় ও মহিমান্বিত রজনী নসীব করেন, ইহার সকল কল্যাণ ও বরকত দান করেন এবং যে কুরআনের বদৌলতে এ মাস ও রাত্রি এত মর্যাদাশীল সে কুরআন পড়ার, বুঝার ও সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করেন। এবং চলমান মহামারী হতে আমাদের সকলকে হেফাজত করেন ও মুক্তি দান করেন। আমীন!
লেখক : উপাধ্যক্ষ, নিবরাস মাদরাসা, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।