রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চাকরি ইস্তফাপত্র দিয়েও ২ বছর থেকে গোপনে সেই পদের বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার কিশামত হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) জাহাঙ্গীর আলম পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সহযোগিতায় তার বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ঘটনাটি এলাকায় প্রকাশ পাওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবক মহলে। তারা ওই শিক্ষকসহ সহযোগিতাকারী প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ সরকারি অর্থ ফেরৎ দেয়ার দাবি জানান। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কিশামত হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম (ইনডেক্স নং ৫৬০৯৯৮) বিগত ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বীয় পদ থেকে চাকরি ইস্তফা দেন। এরপর সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক (কৃষি) শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দরখাস্ত আহŸান করেন। এরপর জাহাঙ্গীর আলম সহকারী প্রধান শিক্ষক ও মনি সাহা সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে যোগদান করেন নভেম্বর/২০১৪ সালে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ইস্তফা পত্রের যাবতীয় প্রক্রিয়া না করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্টাফদের সাথে জাহাঙ্গীর আলমের পূর্ব পদের বেতন-ভাতা প্রতি মাসেই ছাড় করেন ডিজি অফিস। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাজশ করে বিল শিটে জাহাঙ্গীর আলমের নাম বাদ দিয়ে সহি স্বাক্ষর করে বিলশিট ব্যাংকে জমা করে বেতন দেয়ার ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে জাহাঙ্গীর আলমের একার নামে পূর্ব পদের আলাদা বিলশিট করে গোপনে তাকে অবৈধভাবে বিল প্রদান করেন। যাতে কেউ থেকে বুঝতে না পারে। শুধু তাই নয়, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম পূর্ব পদেই নতুন বেতন কাঠামোতে ১১ হাজার টাকা বেতন স্কেলের স্থলে ২২ হাজার টাকার স্কেলে বেতন উত্তোলন করছেন কয়েক মাস থেকে। এভাবে ইস্তফা দানকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেও পূর্ব পদের বেতন-ভাতা ২ বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। যা চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অবৈধভাবে জাহাঙ্গীর আলমের বেতন-ভাতা দিয়েও একই অপরাধ করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য লাল মিয়া, জহুরুল ইসলাম, অভিভাবক রজ্জব আলী ও রঞ্জু মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও অবৈধভাবে বেতন উত্তোলনকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। কারণ তারা নিয়মকে উপেক্ষা করেছেন। এব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।