Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অন্তঃসত্ত্বা মমির খোঁজ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসওর জাতীয় জাদুঘরে দুই হাজার বছরের পুরনো বিশ্বের প্রথম অন্তঃসত্ত্বা একটি মিশরীয় মমি আবিষ্কার করেছেন। তারা এই মমি দেখে তাজ্জব বনে যান। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে মমিটি ছিল কোনো পুরুষের।

জানা যায়, ১৮২৬ সালে নীল নদের তীরবর্তী থিবেস শহরে আবিষ্কার করা হয় এই পুরুষবেশী মমিটিকে। সবাই ভেবেছিলেন এটি বোধ হয় কোনো পুরুষ যাজকের মমি! মৃত্যুকালে ওই মমির নারীর বয়স ছিল ২০-৩০। নারীর মমিটি এতো বছরেও নষ্ট হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মমির সিটি স্ক্যান এবং এক্স-রে করে, মমির পেটে ২৬-৩০ সপ্তাহ বয়সী একটি ভ্রুণের দেহাবশেষ খুঁজে পায়। প্রত্মতাত্তি¡ক মারজেনা ওজারেক-সিজিলেকে বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এই মমিটি বোধ হয় পুরুষের। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা পর আমরা দেখতে পেলাম মমির স্তন এবং লম্বা চুল আছে। তারপরে আমরা জানলাম, এটি এক গর্ভবতী নারীর মমি। তার গর্ভে আমরা ছোট হাত-পা (ভ্রুণের) দেখে আমরা হতবাক হয়ে যাই। গবেষণার ফলাফল জার্নাল অব আর্কিওলজিকেল সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের প্রথম গর্ভবতী মমি।

গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর ওয়াজিয়াচ ইজসমন্ড। তিনি বলেন, এই মমিটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এটি প্রথম গর্ভবতী নারীর মমি! ১৮২৬ সালে উদ্ধারকৃত এই মমিটি ১৯১৭ সালে পোল্যান্ডের ওয়ারসওতে আনা হয় এবং কফিনের শিলালিপিতে একজন পুরুষ পুরোহিতের নামকরণ করা হয়েছিল। মমিটি একটি কাপড়ের মধ্যে জড়িত ছিল। বেশ কয়েকটি তাবিজ বাঁধা ছিল। যা প্রাচীন মিশরীয় রাজত্বের দেবতা এবং আকাশের চার পুত্র হোরাসকে উপস্থাপন করে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ