পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে গ্রেফতারকৃত ছাত্র-জনতার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও নাগরিক সমাজ। এই দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ’ ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়। এতে পরিবারের প্রায় ৫০ সদস্য অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আটককৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তি না দিলে গণভবনের সামনে ঈদ করার ঘোষণা দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি, ঢাবি আইন বিভাগের প্রফেসর আসিফ নজরুল, দিলারা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, শ্রমিক অধিকার পরিষদ এর আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্য সচিব আরিফ হোসেন প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটি সরকার কতটা দুর্বল হলে ৩৫ জন ছাত্রের ভয়ে কাপতে থাকে। সরকার তাদের গ্রেফতার তো করেছেই, এরপর নির্যাতন করেছে, তাদের রিমান্ডে নিয়েছে। সরকার একটা জিনিসই বোঝে, তা হলো ক্ষমতায় টিকে থাকা। অতীত ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পাই যে, অত্যাচারীদের পরিণতি খুব করুণ হয়। আর এ পরিণতি এমনই করুণ হয় যে, তাদের দেখে মানুষের চোখের পানি পড়বে না। চামচারা প্রধানমন্ত্রীকে এই বলে বোঝান যে, দেশের সব মানুষ তার প্রশংসা করে। অথচ সত্যি কথা এই যে, দেশের মানুষ এখন অভাবে কাঁদে। ২১ ভাগের জায়গায় এখন ৪২ ভাগ মানুষ এখন দরিদ্র হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন করতে হবে। কারণ ভালো কথায় এই সরকার যাবে না। সরকার যাওয়ার জন্য আসেনি। যেকোনো প্রকারে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, কোনো কারণ নেই এই ৫৬ জন ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে আটকে রাখার। রাজনীতির নামে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নামে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের জেলের মধ্যে আটকে রাখার কোনোই কারণ নেই। এসময় তিনি গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তি দিতে হবে।
নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের করেই সরকার বিষয়টি সমাপ্ত করেনি। বরং যারা বাইরে আছে তাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করারও চেষ্টা করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের এ পদোন্নতির ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দমন-পীড়নে তাদের ভ‚মিকাকে। বিভিন্ন পত্রিকায় এ বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছিল। একইভাবে মোদি বিরোধী আন্দোলনের পরপর সাতজনের মত পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন হলেন আলোচিত-সমালোচিত এসপি হারুণ। এইভাবে যদি অপকর্ম করার জন্য তাদের পদন্নোতি দেওয়া হয়, তাহলে তারা অপকর্মে উৎসাহ পাবে। আমাদের ছাত্ররা কি চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করেছিল? তাহলে তাদেরকে কেন গরুর মতো কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করা হয়? কাশিমপুর কারাগারে বন্ধুদের খোঁজ-খবর নিতে এবং তাদের খাবার দিতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন আটক হয়েছেন। কারাফটক থেকে এভাবে আটক করা কতটা অমানবিক! তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশে যে একটি ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের কারো মনোবল দুর্বল হয়নি। যদি সরকার ভেবে থাকে, এই ৫৬ জন ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে দেশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে, সেটা কখনওই হবে না। এসময় আটককৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের যদি মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আমাদের ঈদ হবে গণভবনের সামনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।