Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় দাদীর লাশ দেখতে যাওয়ার পথে পদ্মায় সবাইকে হারালো শিশু মিম

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ৭:০৬ পিএম

খুলনায় দাদীর মৃত্যুর খবরে বাবা-মা ও দুই বোনের সঙ্গে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল শিশু মিম। তবে দাদীর লাশ দেখার আগেই পরিবারের সব সদস্যকে হারাতে হলো তাকে। সে বাদে তার সঙ্গে থাকা সবাই দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এবার তাই বাবা-মা ও দুই বোনকে নিয়ে বরং তাদের লাশ সঙ্গে নিয়ে দাদীর লাশ দেখতে যেতে হচ্ছে তাকে।

সোমবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পদ্মা নদীতে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে আছে মিমের বাবা-মা ও দুই বোনের লাশও।

দুপুরে শিবচরের পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি শিশু মিমকে জিজ্ঞাসা করলে বাবা মা ও দুই বোনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরে সে। শিবচর ইউএনও অফিসের এক কর্মচারী ও বাংলাবাজার স্পিডবোট ঘাটের নৈশ প্রহরী দেলোয়ার ফকিরের তত্বাবধানে শিশুটি হাসপাতালের একটি কক্ষে দুপুরের খাবার খাচ্ছিল তখন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিশু মিমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, ছোট দুই বোন সুমি (৫) ও রুমি (৩) স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা গেছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ রাখা হয়েছে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে। খুলনার তেরখাদায় এ পরিবারের বাড়ি। সেখানেই যাচ্ছিলেন তারা।

মিমকে উদ্ধারকারী নৌ পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী বলেন, 'শিশুটিকে নদীতে ব্যাগ ধরে ভাসতে দেখি। হাত ও চোখের কাছে আঘাতের চিহ্ন ছিল সামান্য। দ্রুত তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির পরিবারের সকল সদস্যরাই মারা গেছে।'

শিশু মিম শুধু জানে তার মা, বাবা, বোনেরা কেউ বেঁচে নেই। মাঝে মাঝেই মা মা বলে কেঁদে উঠছে সে। কান্নারত অবস্থায় মিম বলে, 'আমরা দাদু বাড়ি যাচ্ছিলাম। দাদী মারা গেছে। তাকে দেখতে। আমার আর কেউ নাই।'



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ