পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষের ফেলে দেয়া জিনিসপত্র আর কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সুমা। প্রতিদিনের মতো গত ২৫ এপ্রিলও দুই বছরের সন্তান রাশিদাকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু সেদিন কাগজ কুড়ানোর ফাঁকেই সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে শিশু রাশিদা হারিয়ে যায়নি। চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান নীলা বেগম (৩০) নামের এক নারী। এরপর ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহারের জন্য আটকে রেখে মারধর করে বিকৃত করে দেয়া হয় শিশুটির চেহারা। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় ছয় দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অপহরণে জড়িত নীলা বেগম ও ১০ বছরের এক শিশুকে।
গত শনিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার এবং ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে রাজধানীর বংশাল থানা পুলিশ। পরে শিশুটিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে ওই শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে। বংশাল থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা সুমা (২৫) রাস্তায় ভাঙারি জিনিস ও কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ২৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কাগজ ও ভাঙ্গারী টোকানোর জন্য বংশালে যান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুরাতন বংশাল রোডের মাথায় মেয়েকে বসিয়ে রেখে কাগজ সংগ্রহ করছিলেন সুমা। কিছুক্ষণ পরে দেখতে পান তার মেয়ে আর সেখানে নেই। তিনি আরো বলেন, আশে-পাশে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বংশাল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি (নং-১১৬১) করেন তিনি। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে শিশু রাশিদাকে খুঁজে পেতে চার সদস্যের টিম গঠন করে পুলিশ। তদন্তে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্ত করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কদমতলীর শহিদনগর এলাকা থেকে শিশু রাশিদাকে উদ্ধার এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বংশাল থানার ওসি মো.শাহীন ফকির জানান, আসামি নীলা বেগম ও আরেকজন পরস্পরের যোগসাজশে শিশুটিকে চকলেট খাইয়ে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো শিশুটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করা। আর সেজন্য মারধর করে শিশুটির চেহারা বিকৃত করে দেয়া হয়। উদ্ধার শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।