Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দানে পাওয়া গোশত দিয়ে জমে উঠে বাজার ক্রেতাও ছিল শত শত

প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নি¤œ-মধ্যবৃত্তদের আবার কোরবানি! কিন্তু মনের সাধতো মেটাতে হবে। তাই যতটা সাধ্য আছে তাই দিয়া এইখান থাইক্যা সামান্য গোশত নিয়া পোলাপানের জন্য রান্না করমু।’চাষাড়া রেল লাইনের উপর গরুর গোশতের অস্থায়ী বাজারে দাঁড়িয়ে এ কথাগুলো বলছিলেন পাশ্ববর্তী এলাকার এক রিকসা চালক।
গরুর গোশত এ এক ব্যতিক্রমী বাজার। উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তরা লাখ লাখ টাকা দামের গরু-খাসি কোরবানি দিয়ে থাকেন। সেই কোরবানির গোশত একটি অংশ বিলিয়ে দেওয়া হয় ফকির মিসকিনদের মধ্যে। দান হিসাবে পাওয়া কোরবানির গোশত দিয়ে জমে উঠেছিল এই বাজার। যে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাও ছিল শত শত। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে চাষাড়া, ২নং রেল গেইট, ১নং রেল গেইট ও ডিআইটি অস্থায়ী গোশতের বাজারে কেনাবেচার ধুম পড়েছিল।
এই বাজার শুধু এই দীর্ঘ রেলপথ ধরেই বসেছে তাই নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার অন্তত ২৫/৩০টি স্পটে এমন গোশতের বাজার বসেছে। যে বাজারের বিক্রেতারা বেশিরভাগ কসাই। এ ছাড়া যারা কোরবানির গোশত দান হিসাবে পেয়েছেন তারাও অনেকে আছেন। আর ক্রেতাদের মধ্যে নি¤œবিত্ত ও নি¤œ-মধ্যবিত্তের সংখ্যা বেশি। আর আছে বেশ কিছু হোটেল ব্যবসায়ী। তারা একসাথে ৪০/৫০ কেজি পর্যন্ত গোশত কিনে নিয়ে মজুদ করছেন। যদিও এসব গোশত বেশিরভাগই সলিড গোশত নয়। আংশিক চামড়া, চর্বি, তেল ও হাড় মিশ্রিত।
একাধিক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা মান-সম্মানের ভয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দানও নিতে পারেন না আবার নিজেদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্যও নেই। এইসব বাজারই তাদের ভরসা। এই কোরবানি গোশতের বাজারে গোশত কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে চারশ টাকা পর্যন্ত। আবার কোথাও কোথাও মানের উপর নির্ভর করে ভাগা হিসাবে ৫০০ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছিলেন বিক্রেতারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দানে পাওয়া গোশত দিয়ে জমে উঠে বাজার ক্রেতাও ছিল শত শত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ