গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের এই কঠিন মূহুর্তেও শ্রমিকরা জীবনবাজি রেখে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সমৃদ্ধি করছে। অথচ তারাই বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়িত। পুঁজিবাদীরা নিজের স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট হলেও শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। সম্প্রতি বাঁশখালিতে শ্রমিদের গুলি করে হত্যাকা-ের ঘটনায় দেশবাসী শঙ্কিত। অবিলম্বে বাঁশখালীতে নিহত ও আহত শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং বাঁশখালীতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. এস এম সরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। অ্যাডভোকেট আবুল আজাদ ও মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল আবু নাসের মুহাম্মদ মুসা, রেহানে মুস্তফা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শাহাবুদ্দীন মীর, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, রাসেল আহমদ, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম হাফেজ ওমর ফারুক, রাসেল আহমদ ফিরোজ আহমদ, মুহাম্মদ মাসউদ হোসাইন, মিজানুর রহমান, শাফায়াত উল্লাহ, শেখ মুহাম্মদ ফরিদ ও কাজী মোহাম্মদ শিহান হোসাইন।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হতে হবে। শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক আন্তরিক হতে হবে। মানবতার ধর্ম ইসলামে শ্রমিকের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, শ্রমিকের পারিশ্রমিক তার ঘাম শুকানোর পূর্বে দিয়ে দাও। এমন নীতি অনুসরণ করলে শ্রমিক-মালিকের দ্বন্দ্ব মিটে যাবে নি:সন্দেহে। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে শ্রমিকের কল্যাণে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসহ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল গঠন, শ্রম আইন, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন। শেষে পথচারি ও ছিন্নমুল-অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।