ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দিয়েগো ম্যারাডোনা গত বছরের ২৫ নভেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন ৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি। তবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুকে ঘিরে জন্ম নিয়েছিল সন্দেহ। অভিযোগ ছিল, চিকিৎসকরা তৎপর থাকলে হয়তো বাঁচানো যেত ম্যারাডোনাকে। ফুটবল ঈশ্বরের মৃত্যুর প্রায় পাঁচ মাস পর সেই অভিযোগের পক্ষেই কথা বলেছে ম্যারাডোনার মৃত্যুর তদন্তের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড।
মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, 'ম্যারাডোনার চিকিৎসা ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং যত্নহীন'। এছাড়া চিকিৎসা যথাযথও ছিল না বলেছে তদন্ত কমিটি। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর ডাক্তাররা তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পর হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরদিনই আইনজীবী মাতিয়াস মোরিয়া পূর্ণ তদন্তের দাবি জানান। যার ফলস্বরূপ গত মার্চে ম্যারাডোনার মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না- তা জানতে ২০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সেই বিশেষ কমিটি। যেখানে তারা বলেছেন, 'চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ত্রুটিপূর্ণ ও যত্নহীনভাবে দেখাশোনা করেছেন ম্যারাডোনার'।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মৃত্যুর দিন দুপুর থেকেই যথাযথভাবে চিকিৎসা পাননি ম্যারাডোনা। যে কারণে আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে লড়তে পারেননি তিনি। এ তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ আনা হতে পারে বলে জানাচ্ছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমগুলো।