পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারিতে অসহায়কে সরকার খাদ্য সহায়তা দেবে এমন ঘোষণার পর জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে খাদ্য কল দিয়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। যাদের অধিংকাংশই যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। ৩ লাখের মধ্যে সরকারি ত্রাণ পেয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৮৩৩ জন। তাদের পরিবারে সংখ্যা ২২ হাজার ৮৫৪টি। গত ২৫ এপ্রিলের পর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এসব কল ৩৩৩ নম্বরে আসে বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। ত্রাণ সচিব বলেন, জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ তে খাদ্য চেয়ে কল দিয়েছে কতজন তা বলছে পারবে, এটুওআই। ৬৪ জেলায় এ পযন্ত তাদের দেওয়া মতে আমরা ৪ হাজার ৮৩৩ জনকে ত্রাণ দিয়েছি। এসবের পরিবারে সদস্য ২২ হাজার ৮৪৫। প্রকৃত খাদ্য সহায়তা প্রার্থীদের তথ্য মাঠ প্রশাসনে পাঠিয়ে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেকই ত্রাণ চেয়ে কল দিয়েছে যখন আমাদের কর্মকর্তার ওই ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে দেখতে পারেন তিনি বৃত্তশালী তখন আর তাকে কিছু দেয়া হচ্ছে না।
ত্রাণ সহায়তা ছাড়াও সারাদিন বিভিন্ন কল আসতে থাকে। মজা করেও কল দেন অনেকে। এদের মধ্যে অনেকেই নানা ধরনের কথা বলে সময় নষ্ট করেন। এতে করে যারা প্রকৃত সমস্যা কিংবা প্রয়োজনে কল করেন, তাদেরকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়। বিশেষ করে ত্রাণের ঘোষণা আসার পর কলের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
জানা গেছে, ঈদের আগে নগদ সহায়তা এ কার্যক্রমের বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় হবে ৯৩০ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবার পাবে পাঁচ হাজার করে। এ জন্য সরকারের ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সম্প্রতি এ তথ্য জানান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফর থেকে জানা গেছে, ঝড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৩৬টি জেলার ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০ হাজার ৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৫৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর ফসলি জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এক লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে জনসাধারণের কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এ পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং দুস্থ নাগরিকদের কাছে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত ও পূর্বে মজুতকৃত অর্থ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, তেল, লবণ ও আলু বিতরণের জন্য দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়। গত রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কোনো মধ্যবিত্ত পরিবার যদি খাদ্য সংকটে থাকেন, তবে তিনি ৩৩৩ নম্বরে কল দিলে তার বাসায় খাবার পৌঁছে যাবে।
জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর স্থানীয় প্রশাসন গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৩৩ জন ব্যক্তিকে এবং ২২হাজার ৮৪৫ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। নাগরিকদের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তথ্যসেবা প্রদানে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন বছরে ৩৩৩ নম্বরে প্রায় ৩ কোটি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে। মোট ফোনকলের মধ্যে সম্প্রতিক সময়ে ৫০ লাখের বেশি কল এসেছে শুধু করোনা বিষয়ক। স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ নাগরিককে। গত ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ সাহায্য চেয়ে কল এসেছে ১৮ লাখের বেশি। সেই গতবারো যথাযথ পদক্ষেপের জন্য এসব তথ্য মাঠ প্রশাসনের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। অবশ্য এই সেবাটি গত বছরের ৩১ অক্টোবর বন্ধ করে দেয়া হয় এবং গত ২৫ এপ্রিল পুনরায় চালু করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।