নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আবারও ফিল্ডিংয়ে তাসকিন আহমেদকে হতাশ করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় দিন ১৫২তম ওভারের শেষ বলে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান রমেশ মেন্ডিসের ক্যাচ ফেলে দেন তিনি। তাতে তাসকিন চতুর্থ উইকেট বঞ্চিত হন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্যাচ ফসকালো শান্তর হাত থেকে। প্রথম দিন ২০তম ওভারে দিমুথ করুণারত্নেকে জীবন দেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৫৫.৫ ওভারে ৪৬৯/৬ (রমেশ ২২*, ডিকবেলা ৬৪*)
ডিকবেলার হাফ সেঞ্চুরি
১৮তম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন নিরোশান ডিকবেলা। বাঁহাতি এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান ৪৮ বলে ৬ চারে ফিফটি করেন। রমেশ মেন্ডিসের সঙ্গে তার জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে আরও আগেই।
বৃষ্টি শেষে মাঠে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ২০ মিনিটের মতো বন্ধ ছিল শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের খেলা। আকাশ পরিষ্কার হলে আবার মাঠে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। নিরোশান ডিকবেলা হাফ সেঞ্চুরির পথে ছুটছেন।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
দ্বিতীয় টেস্টেও প্রকৃতি বাধ সাধছে। ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনের শুরুতে মেঘের আড়ারে ঢাকা পড়েছে সূর্য, নেমেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তাতে সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে খেলা। ১৪৯ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৬ রান শ্রীলঙ্কার। রমেশ মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকবেলার জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে।
চা বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ডিকবেলার বিরুদ্ধে তা্ইজুল ইসলাম কট বিহাইন্ডের আপিল করেন। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আউট দিলে রিভিউ নেন লঙ্কান ব্যাটসম্যান। আল্ট্রা এজে বল তার ব্যাটে নয়, ফ্রন্ট প্যাডে লাগতে দেখা গেছে। রিভিউয়ে উইকেট বাঁচান ডিকবেলা। তাতে হতাশ হতে হয় তাইজুলকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৪৯ ওভারে ৪৩৬/৬ (রমেশ ১২*, ডিকবেলা ৪২*)
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ২ উইকেট
দ্বিতীয় সেশনেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি রয়েছে। ৩০ ওভার বল করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছে। লাঞ্চের পর মাঠে নেমে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও ৯১ রান যোগ করেছে শ্রীলঙ্কা। হারিয়েছে পাথুম নিশানকা ও ওশাডা ফার্নান্ডোর উইকেট। ৪৩ রানের জুটি গড়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছেন রমেশ মেন্ডিস ও নিরোশান ডিকবেলা। দ্বিতীয় দিনের দুই সেশন শেষে ১৪৬ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪২৫ রান।
ওশাডাকে ৮১ রানে থামালেন মিরাজ
সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন ওশাডা ফার্নান্ডো। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে ১০৪ ও পাথুম নিশানকার সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। আর ১৯ রান করলেই হতো শতক। কিন্তু পারলেন না। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ওশাডা সুইপ করেন, বাঁ দিকে সরে গিয়ে দারুণ একটা ক্যাচ ধরেন লিটন দাশ।
নিশানকা আউট হওয়ার পর মাত্র চার বলের ব্যবধানে ওশাডা ফিরলেন ২২১ বলে ৮১ রান করে। ৩৮২ রানে ৬ উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার।
তাসকিনের বলে নিশানকা বোল্ড
বল হাতে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচেও অসাধারণ তিনি। বাংলাদেশের এই ডানহাতি পেসার নিজের তৃতীয় উইকেট পেলেন। পাথুম নিশানকার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে অফস্টাম্প ভাঙে তাসকিনের বল। ৮৪ বলে ৩০ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ওশাডা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি ছিল তার। ৩৮২ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা।
লাঞ্চের পর শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ
প্রথম সেশনের শেষ দিকে ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় সংগ্রহের পথে নিচ্ছেন ওশাডা ফার্নান্ডো ও পাথুম নিশানকা।
চার উইকেটের স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
ঠিক যেন আগের দিনের প্রতিচ্ছবি, আজও দিনের শুরু থেকে প্রায় নিখুঁত লাইন-লেংথে বোলিং করে গেলেন শরিফুল ইসলাম। তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ চৌধুরিও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেঁধে রাখলেন ব্যাটসম্যানদের। তবে দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন সেই সময়টা পার করে দিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। তবে এর পরই হঠাৎ ছন্দ ফিরে পেলেন তাসকিন আহমেদ।
টানা বোলিংয়ের পরও সতীর্থদের কাছ থেকে সহায়তা না পাওয়ায় উইকেট উদযাপন করা হয়নি তাসকিনের। অবশেষে মুখ তুলে তাকিয়েছে ভাগ্য। তাও আবার জোড়া শিকার। বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ বনে যাওয়া লাহিরু থিরিমান্নেকে (১৪০) উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচে পরিণত করার পর আরেকটি বুদ্ধিদ্বীপ্ত বলে সেই একইভাবে ফেরান অভিজ্ঞ আঞ্জেলো ম্যাথ্যুসকে (৫)।
পরে উইকেট শিকারির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন তাইজুল ইসলামও। গতি ছিল বেশ, সঙ্গে পর্যাপ্ত টার্নও। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন মাত্রই ক্রিজে আসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তাতে খোঁচা লেগে বল চলে যায় নাজমুল হোসেন শান্ত হাতে। এবার আর কোনো ভুল করেন নি স্লিপে দাঁড়ানো এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে (১১৬ ওভার শেষে) যাবার সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪ উইকেটে ৩৩৪। ৬৫ রান নিয়ে লঙ্কানদের রান বাড়ানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে এগিয়ে যাচ্ছেন ওশিদা ফার্নান্দো। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন পাথুম নিশাঙ্কা।
প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিং
দিনের শুরু থেকে প্রায় নিখুঁত লাইন-লেংথে বোলিং করে গেলেন শরিফুল ইসলাম। তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ চৌধুরিও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেঁধে রাখলেন ব্যাটসম্যানদের। তবে দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন সেই সময়টা পার করে দিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।